![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Science News:হাসি নিয়ে ঠাট্টা নয়! বিরল হলেও আসতে পারে বিপদ, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
Laughter Causes Death:বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাসতে হাসতে মারা যাওয়ার ব্যাপারটা নেহাতই মস্করা নয়। বাস্তবে স্রেফ হাসির চোটে ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ।
![Science News:হাসি নিয়ে ঠাট্টা নয়! বিরল হলেও আসতে পারে বিপদ, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা Is It Possible To Die Of Laughter Experts Say Yes Though Chances Are Minimal Science News:হাসি নিয়ে ঠাট্টা নয়! বিরল হলেও আসতে পারে বিপদ, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/11/14/b4a80d522416eb6bc4cb15facfb895021699958804225482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: 'হাসতে হাসতে মরে যাব তো', তুমুল মজার কোনও গল্প শুনে বা মিম দেখে এমন মন্তব্য আকছার করেন কি? তা হলে একটু খেয়াল করুন। কারণ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাসতে (Laughter can cause death) হাসতে মারা যাওয়ার ব্যাপারটা নেহাতই মস্করা নয়। বাস্তবে স্রেফ হাসির চোটে ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ। সম্ভাবনা খুবই কম, তবে হাসির ধাক্কায় মৃত্যু একেবারে অসম্ভব নয়, এমনই দাবি একাধিক বিশেষজ্ঞের (Science News)। একটু খোলসা করা যাক?
হাসিতে বিপদ?
হাতেগোনা হলেও এমন ঘটনার কথা ডাক্তাররা জানেন যেখানে বেদম হাসির চোটে শরীরে নেতিবাচক কিছু প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বেশ বিরল এই ধরনের ঘটনা, স্বীকার করছেন তাঁদের সিংহভাগই। কিন্তু ঘটেছে। কেমন? 'লাফটার ইনডিউসড সিনকোপি'-র কথা এই প্রসঙ্গে প্রায়ই বলে থাকেন ডাক্তাররা। এতে, হাসির জেরে রক্তচাপ হঠাৎ করে অনেকটা নেমে যেতে পারে। সেটা হলে দেহের 'অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম' একেবারে আচমকা চরম তৎপরতায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। স্নায়ুতন্ত্রের এই অংশটি স্বতঃস্ফূর্ত শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণ করে। আচমকা এটি চরম তৎপর হয়ে উঠলে তার জের প্রাণঘাতী হতে পারে, ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞদের। কী রকম? হঠাৎ করে মস্তিষ্কের রক্ত সংবহনের পরিমাণ কমে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চেতনা হারিয়ে ফেলার মতো ঘটনা ঘটে থাকে, জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। এমন সব ক্ষেত্রে সাধারণ ভাবে চেতনা বা সংজ্ঞা হারানোর পরিস্থিতিই বেশি তৈরি হয়, ধারণা ডাক্তারদের। তবে, কোথায়, কোন পরিস্থিতিতে কেউ সংজ্ঞা হারাচ্ছেন, সেটার উপরও নির্ভর করে তা প্রাণঘাতী হবে কিনা। তা ছাড়া, শারীরবৃত্তীয় ভাবে তুমুল ভাবে হাসার জেরে হৃৎপিণ্ড আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়, মনে করেন ডাক্তাররা।
ফিরে দেখা...
১৯৯৭ সালে প্রথম এই ধরনের একটি ঘটনার কথা জানতে পেরেছিল ডাক্তাররা। ৬২ বছরের এক বৃদ্ধ, তুমুল ভাবে হাসতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। হাইপারটেনশন-সহ হৃৎপিণ্ডের একাধিক সমস্যা ছিল তাঁর। তবে বরাতজোর কোনও মর্মান্তিক পরিণতি হয়নি সেই বৃদ্ধের। যদিও ডাক্তাররা মনে করাচ্ছেন, রাস্তাঘাট বা সিঁড়ির মধ্যে এভাবে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে সেটি প্রাণঘাতী হতেই পারে। বেমক্কা হাসি যে বিপদ ডেকে আনতে পারে, তার পিছনে আরও কিছু কারণ জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। যেমন ২০০৯ সালের একটি গবেষণায় উঠে আসে, যে অ্যাজমা-পেশেন্টদের অনেকেই 'লাফটার ইনডিউসড অ্যাজমা'-র কথা বলছেন। ডাক্তারদের অনেকে আবার মনে করেন, হাসির ফলে ভোকাল কর্ডে এক ধরনের স্প্যাজম তৈরি হতে পারে। হাসার দমকে যথেষ্ট অক্সিজেন নেওয়ার সুযোগ না হলে asphyxiation-ও হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাসি নিরাপদ, বরং স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তাই মেপে নয়, মন খুলে হাসুন। শুধু একটু খেয়াল রাখবেন...
আরও পড়ুন:'মহাজাগতিক দীপের উৎসব', দুরন্ত ছবি পোস্ট করে দীপাবলির শুভেচ্ছা নাসার
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)