Space Meal: জল ছাড়াই চাষ সম্ভব মহাশূন্যে, পুষ্টির জোগানও মিলবে, নভোচারীদের জন্য এল ‘Space Meal’
Science News: American Chemical Society Food Science & Technology-তে কর্মরত গবেষকরা নভোচারীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
নয়াদিল্লি: চাঁদ, মঙ্গল ছেড়ে সূর্যের কাছাকাছিও পৌঁছনোর প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই চেষ্টায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা যাঁদের, সেই নভোচারীদের বেশ কষ্ট করেই থাকতে হয় মহাশূন্যে। পৃথিবীর মতো হাত-পা ছড়িয়ে থাকার উপায় নেই যেমন, তেমনই পছন্দের খাবারও জোটে না। দীর্ঘ দিন ধরে সংরক্ষিত, স্বাদহীন খাবার খেয়েই মহাজাগতে দিন কাটে তাঁদের। সব ঠিক থাকলে আর যাই হোক না কেন, মহাশূন্য আর খাওয়ার কষ্ট থাকবে না নভোচারীদের। কারণ তাঁদের জন্য দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ সম্ভব সুস্বাদু খাবারের বন্দোবস্ত করা গিয়েছে এতদিনে। (Space Meal)
American Chemical Society Food Science & Technology-তে কর্মরত গবেষকরা নভোচারীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। আপাতত ‘অপটিমাল স্পেস মিল: আ টেস্টি ভেজিটেরিয়ান স্যালাড’ নাম দেওয়া হয়েছে ওই খাবারের। ওই স্যালাড খেয়েই মহাশূন্যে সুস্থ-সবল থেকে নভোচারীরা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে দাবি গবেষকরা। গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে দৈনন্দিন জীবনে মানুষের যত না পরিশ্রম হয়, মহাশূন্যে নভোচারীদের পরিশ্রম অনেক বেশি। ফলে ক্যালরিও খরচ হয় বেশি। তাই তাঁদের বেশি পুষ্টির প্রয়োজন। তাঁদের ব্যবস্থা করা খাবার সেই পুষ্টির জোগান দিতে সক্ষম। (Science News)
মহাকাশ অভিযানে গিয়ে খাবারের কষ্ট যাতে সহ্য করতে না হয়, তার জন্য মহাশূন্যেই ফল ফলাতে উদ্যোগী হয়েছেন নভোচারীরা। ইতিমধ্যে সেই কাজে সাফল্যও মিলেছে। মহাশূন্যে টমেটো ফলানো গিয়েছে। তবে চাহিদা পূরণ করতে আরও অনেক দূর যেতে হবে। তাই আপাতত গবেষকদের ব্যবস্থা করা নিরামিষ স্যালাডই নভোচারীদের জন্য আদর্শ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Science News: লোককথা রয়েছে হাজারো, চাঁদকে ঘিরে থাকা জ্যোতির্বলয়ের আবির্ভাব ঘটে কেন, জানেন কি?
নভোচারীদের ব্যবস্থা করা ওই নিরামিষ স্যালাডে এমন উপকরণ রাখা হয়েছে, মহাশূন্যে যদি সেগুলি চাষও করা হয়, জল, সারের প্রয়োজন পড়বে না তেমন। সেই তালিকায় রয়েছে সয়াবিন, পোস্ত, বার্লি, চিনে বাদাম, কপি পাতা, রাঙা আলু এবং সূর্যমুখীর বীজ। এই উপাদানগুলি যদি মহাশূন্যে চাষ করা হয়, তেমন খাটা-খাটনিও করতে হবে না নভোচারীদের।
দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানে যান যে নভোচারীরা, তাঁদের জন্য ওই স্যালাড উপযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে, যদিও তাতে আরও পুষ্টিকর উপাদান যোগ করার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু যাঁরা চেখে দেখেছেন ওই স্যালাড, স্বাদের মাপকাঠিতে সেটি উতরে গিয়েছে। এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।