Nova-C Lander: হোঁচট খেয়ে কাত হয়ে গেল Nova-C, পাঁচ দশক পর চাঁদে ফিরেও সাফল্য বিস্বাদ ঠেকছে আমেরিকার
Science News: আমেরিকার সময় অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা বেজে ২৩ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে Nova-C.
নয়াদিল্লি: দীর্ঘ পাঁচ দশক পর চাঁদের মাটিতে ফের পদার্পণ আমেরিকার। কিন্তু মাটি ছুঁতে সক্ষম হলেও, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হিমশিম খাচ্ছে তাদের চন্দ্রযান Nova-C, যার ডাক নাম Odysseus. কারণ চাঁদের বুকে একদিকে হেলে অবতরণ করেছে সেটি। সেই অবস্থাতেই যদিও চাঁদের মাটির ছবি তুলে পাঠাচ্ছে তাতে মজুত রোবট, তবে গা ঝাড়া দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে গিয়ে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে Nova-C. (Nova-C Lander)
আমেরিকার সময় অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা বেজে ২৩ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে Nova-C. অবতরণের কিছু মুহূর্ত আগেই সমস্যা দেখা দেয়। রেডিও সংযোগ স্থাপন করতে সময় লাগে বেশ কয়েক মিনিট। শেষ পর্যন্ত চাঁদের মাটি ছুঁতে সফল হয় Nova-C. কিন্তু ষড়ভুজাকার চন্দ্রযানটি একদিকে হেলে চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে বলে জানান বেসরকার সংস্থা Intuitive Machines-এর CEO স্টিভ আলটেমাস। (Science News)
এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী, চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে গিয়ে হোঁচট খায় Nova-C, তাতেই একদিকে হেলে পড়ে যায়। একটি পাথরের উপর কাত হয়ে পড়ে রয়েছে সেটি। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র Lunar Reconnaissance Orbiter ইতিমধ্যেই কাজে নেমে পড়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ঠিক কোথায়, কী অবস্থানে রয়েছে Nova-C, তল্লাশি চালাচ্ছে সেটি। সপ্তাহান্তেই চাঁদের মাটিতে কাত হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় Nova-C-র ছবি তুলে পাঠাতে পারে Lunar Reconnaissance Orbiter.
For the first time since the Apollo era, new NASA science instruments and tech demonstrations are operating on the Moon after @Int_Machines' Odysseus lander arrived on the lunar surface: https://t.co/l1VaQujvOZ
— NASA (@NASA) February 24, 2024
The IM-1 mission team expects to receive images in the coming days. pic.twitter.com/CZZXLG43C1
আরও পড়ুন: LignoSat Probe: ক্ষতি হবে না পৃথিবীর, মহাকাশে হিমচাঁপা কাঠের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাচ্ছে জাপান
যেহেতু কাত হয়ে চাঁদের মাটিতে পড়ে রয়েছে Nova-C, অ্যান্টেনাও অধোমুখী হয়ে রয়েছে। ফলে পৃথিবীতে তথ্য এসে পৌঁছচ্ছে না। Nova-C চন্দ্রযানে বহির্মুখী যে ক্যামেরা বসানো রয়েছে, সেটিও কাজে লাগানো যাচ্ছে না। যে Intuitive Machines সংস্থা Nova-C-র নির্মাতা, সেটি একটি বেসরকারি সংস্থা। এই প্রথম কোনও বেসরকারি সংস্থার তৈরি মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছুঁতে সক্ষম হল, আর তার হাত ধরেই অ্যাপোলো অভিযানের দীর্ঘ সাত দশক পর ফের চাঁদের মাটিতে পৌঁছল আমেরিকা।
ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা SpaceX Falcon 9 রকেটে চাপিয়ে উৎক্ষেপণ হয় Nova-C চন্দ্রযানের, তাতে NASA-রও সাতটি পেলোড রয়েছে। চাঁদের পরিবেশ সক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে তাতে বসানো NASA-র যন্ত্রপাতি। সেই সব তথ্যের উপর নির্ভর করে আবারও চাঁদের বুকে মানুষ পাঠানোর কাজে হাত দেবে NASA. তাই কাত হয়ে পড়ে থাকলেও, পাঁচ দশক পর চাঁদের মাটি ছোঁয়ার জন্য Intuitive Machines-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন মাস্ক।