ChatGPT: ১৭ জন ডাক্তার চেষ্টা করেও পারলেন না, ৪ বছরের শিশুর বিরল রোগ শনাক্ত করে প্রাণ বাঁচাল চ্যাটজিপিটি !
AI Technology: আমেরিকার অ্যালেক্স নামে এক চার বছরের শিশু গুরুতর সমস্যায় ভুগছিল। দিন দিন তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছিল। সবথেকে বড় সমস্যা ছিল যে ডাক্তাররাও তাঁর এই সমস্যা নির্ণয় করতে পারছিলেন না ঠিকমত।

কলকাতা: সারা বিশ্বে আজ নতুন নতুন প্রযুক্তি মানুষের কাজকে অনেক সহজ করে তুলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এসে মানুষের কাজ অনেক কমিয়ে দিয়েছে। আর আজ সকলেই এআই ব্যবহার করছে। চিকিৎসাক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হচ্ছে এআই। আর এর সবথেকে বড় উদাহরণ দেখা গিয়েছে একটি সাম্প্রতিক ঘটনায়। চার বছরের এক অসুস্থ শিশুর রোগ শনাক্ত করে ফেলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই শিশুটি একটি বিরল রোগে আক্রান্ত ছিল। ১৭ জন চিকিৎসক মিলে চেষ্টা করছিলেন রোগ শনাক্ত করার, কিন্তু পারেননি। আর তারপরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এই রোগ শনাক্ত করা যায়। অদ্ভুত ঘটনা !
আমেরিকার অ্যালেক্স নামে এক চার বছরের শিশু গুরুতর সমস্যায় ভুগছিল। দিন দিন তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছিল। সবথেকে বড় সমস্যা ছিল যে ডাক্তাররাও তাঁর এই সমস্যা নির্ণয় করতে পারছিলেন না ঠিকমত। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর বাবা-মা প্রযুক্তির সাহায্য নেন। শিশুর শরীরে যে যে লক্ষণ দেখা দিয়েছে, তা চ্যাটজিপিটিকে জানান, আর তখনই চ্যাটজিপিটি তাদের জানায় শিশুটি এক কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। শুধু তাই নয়, এই রোগ সারানোর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কী কী করা দরকার, তাও জানিয়ে দেয় চ্যাটজিপিটি। অবাক হয়ে যান শিশুটির বাবা-মা।
করোনাকালে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল
অ্যালেক্স নামের সেই শিশুটির বাবা কোর্টনি জানিয়েছেন, করোনা মহামারির সময় থেকে অ্যালেক্সের কিছু সমস্যা দেখা যায়। যেমন তাঁর দাঁতে তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছিল। তাছাড়াও নিজের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সমস্যা হচ্ছিল। এরপরেই তাঁর বাবা শিশুটির এমআরআই নোট এবং সমস্ত লক্ষণ বিশদে চ্যাটজিপিটিকে লেখেন এবং মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এআই টুলটি একটি সম্ভাব্য রোগ শনাক্ত করে দেয়, এর নাম দেওয়া হয়েছে 'টেদার্ড কর্ড সিন্ড্রোম'। এটি একটি বিরল স্নায়বিক রোগ যা প্রভাবিত করে মানুষের মেরুদণ্ডকে।
এরপরে অ্যালেক্সের বাবা ফের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অ্যালেক্সের মেরুদণ্ডের চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসকরাও দেখে অবাক হয়ে যান যে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অ্যালেক্সের বাবা কোর্টনি তাঁর সমাজমাধ্যম প্রোফাইলে এই কাহিনি শেয়ার করেছেন।
সম্প্রতি চ্যাটজিপিটিকে ঘিরে ঘিবলি আর্টের প্রসঙ্গে নানাবিধ সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে জাল আধার কার্ড প্যান কার্ড বানানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তথ্য চুরির অভিযোগ তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। ফলে এই চ্যাটজিপিটি ব্যবহারেও কিছু কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
