C V Ananda Bose On Ragging : র্যাগিং রুখতে এবার ইসরোর দ্বারস্থ রাজ্যপাল, ট্রেনে বসেই ফোন ইসরোর চেয়ারম্যানকে
Jadavpur University Incident : রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র্যাগিং রুখতে এবার ইসরোর দ্বারস্থ হলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, সুনীত হালদার, কলকাতা : মিজোরামে নির্মীয়মান রেল ব্রিজ ভেঙে় বাংলার ২৪ জন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবার মালদা রওনা হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ( C V Ananda Bose ) । মালদা ( Malda ) যাওয়ার পথে ট্রেনে বসেই ইসরোর চেয়ারম্যানকে ফোন করলেন রাজ্যপাল ! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র্যাগিং রুখতে কীভাবে কাজে লাগানো যায় উন্নত প্রযুক্তিকে? এস সোমনাথের সঙ্গে কথা বললেন সি ভি আনন্দ বোস ( S. Somanath, Chairman of the Indian Space Research Organisation )। ফোন করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকেও।
র্যাগিং রুখতে এবার ইসরোর দ্বারস্থ
রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র্যাগিং রুখতে এবার ইসরোর দ্বারস্থ হলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে আগেও যোগাযোগ করেছেন রাজ্যপাল। এবার ট্রেনে বসেই ফোন করলেন এস সোমনাথকে। এবিষয়ে ইসরো প্রযুক্তিগত সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও খবর রাজভবন সূত্রে। এদিন এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল বলেন, উন্নত মানের প্রযুক্তি ক্যাম্পাসে র্যাগিং রুখতে সাহায্য করবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার মর্মান্তির মৃত্যুর পর একের পর এক পদক্ষেপ করেন রাজ্যপাল। ঘটনার পরে যাদবপুরের মেন হস্টেলেও যান তিনি। সন্তানহারা বাবাকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশও করেন আচার্য ও রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস! এরপর রাজ্য়পাল বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য হিসেবে অস্থায়ী উপচার্য নিয়োগ করেন বুদ্ধদেব সাউকে। ছাত্র মৃত্য়ুর ঘটনার সময় যাদবপুরে কোনও স্থায়ী উপাচার্য ছিল না, তাই রাজ্য়পালকে লাগাতার কাঠগড়ায় তুলে আসছিল শিক্ষামন্ত্রী থেকে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। তারপরই তিনি এই পদক্ষেপ করেন। তাই নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি।
উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্য় সরকারের তৈরি কমিটির থাকা উচিত না কি রাজ্য়পালের, তা নিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্য়েই সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। যদিও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তে আপাতত হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। দু’সপ্তাহ পরে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। এই সময়ের মধ্যে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষ আলোচনায় বসে সমাধানসূত্র বার করা যায় কি না দেখবে সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন : চাঁদের মাটি ছুঁয়ে অভিনন্দন ভারতকে, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রথম বার্তা পাঠাল ল্যান্ডার ‘বিক্রম’