Hooghly News: 'কর্তৃপক্ষের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত,' মত যাদবপুরের প্রাক্তনী ইসরোর বিজ্ঞানীর বাবা-মা
হুগলির চন্দননগরের মানকুন্ডু গ্রিন পার্কের বাসিন্দা শুভ্রদীপ দে।ঘরজুড়ে পড়ে আছে বইপত্র। আর ঘরের ছেলে পড়ে আছেন ব্যাঙ্গালোরে।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দননগর: র্যাগিং (Ragging) রুখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মনে করেন যাদবপুরের প্রাক্তনী ইসরোর বিজ্ঞানী শুভ্রদীপ দে-র বাবা-মা। হুগলির চন্দননগরের শুভ্রদীপ যুক্ত রয়েছেন ইসরোর মিশন চন্দ্রযান-৩-এ। অন্যদিকে, এই মিশনে অবদান রয়েছে চুঁচুড়ার বাসিন্দা অমরনাথ নন্দীরও। খুশির হাওয়া হুগলিতে।
কর্তৃপক্ষের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত: হুগলির চন্দননগরের মানকুন্ডু গ্রিন পার্কের বাসিন্দা শুভ্রদীপ দে। ঘরজুড়ে পড়ে আছে বইপত্র। আর ঘরের ছেলে পড়ে আছেন ব্যাঙ্গালোরে। মিশন চন্দ্রযান সফল করেও যে কাজ শেষ হয়নি। বাবা-মা দুজনেই রেল কর্মী। তাঁদর একমাত্র ছেলে শুভ্রদীপ রয়েছেন ইসরোর মিশন চন্দ্রযান-৩-এ। ছেলে যাদবপুরের প্রাক্তনী। যে র্যাগিং-এর অভিযোগকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি- কী ভাবছেন সেই র্যাগিং নিয়ে? ইসরোর বিজ্ঞানী শুভ্রদীপ দে-র মা রিনা দে বলেন, "নতুন জীবন শুরু করতে গিয়ে মৃত্যু এই ভাবা যায় না।'' ইসরোর বিজ্ঞানী শুভ্রদীপ দে-র বাবা প্রবীর দে বলেন, "অভিভাবক এসে এটা মেনে নেব না।'' অন্যদিকে, চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের শরিক বাঙালি বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন চুঁচুড়ার অমরনাথ নন্দী। তাঁর ছবি নিয়ে এলাকায় মিছিল করেন বাসিন্দারা। মিষ্টি মুখ করানো হয় পথ চলতি মানুষকে।আদরের বুবুনের কীর্তিতে গর্বিতা গোটা এলাকা।
এদিকে সেনার পোশাকে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ঢোকার ঘটনায় অবশেষে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল যাদবপুর থানার পুলিশ। ধৃত কাজি সাদেক হোসেন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সম্পাদক। ধৃতকে জেরা করে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি মিলেছে, বয়ানেও অসঙ্গতি রয়েছে, তাই গ্রেফতার বলে দাবি পুলিশের। যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ১৩ দিন পর, বুধবার সেনার জংলা পোশাকে ২০-২৫ জন তরুণ-তরুণীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় অরবিন্দ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কারা পাঠিয়েছিল এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সদস্যদের? কেন সেনার পোশাকে যাদবপুর ক্যাম্পাসে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা? জানতে ধৃত সাদেক হোসেনকে জেরা করছে পুলিশ।
অন্যদিকে জবাব সন্তোষজনক নয়, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে তৃতীয় নোটিস পাঠাল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ কমিশন। যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর পর, ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, তৃতীয় নোটিসে তা জানতে চেয়েছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের নোটিসের জবাব দেওয়ার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।
আরও পড়ুন: North Dinajpur News: ২১টি পুকুর চুরির অভিযোগ, কাঠগড়ায় খোদ মন্ত্রী-পত্নী