Katihar Express: হাওড়া ঢুকতেই কাটিহার এক্সপ্রেসে চাঞ্চল্য, চাদর সরাতেই যাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার !
Katihar Express Passenger Death Mystery: হাওড়া স্টেশনে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস পৌঁছতেই চাঞ্চল্য, ট্রেনের বাঙ্কার থেকে চাদর চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হল তবলা বাদকের দেহ !
সুনীত হালদা, ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসের কামরা থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ট্রেনের বাঙ্কার থেকে চাদর চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হল তবলা বাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ। বছর ৫১-র ওই যাত্রীকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান জিআরপি ও আরপিএফের। ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া জিআরপি। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ।
কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত ?
এই ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। তখন ঘড়ির কাঁটায় সকাল সোওয়া সাতটা।হাওড়া স্টেশনে ঢোকে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনের ঠিক পিছনের কামড়ায়, প্রতিবন্দিদের জন্য যে সংরক্ষিত কোচ, সেই কোচের বাঙ্কারে দেহ উদ্ধার হয়।ওই মৃতদেহের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। এবং এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো হয় রেলপুলিশকে। তৎক্ষনাৎ দেহ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এবং দেহ উদ্ধারের জন্য ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। রেলপুলিশের অনুমান, এই ঘটনা ট্রেনের মধ্যেই হয়েছে। এববং ট্রেনের মধ্যেই খুন হয়েছে। মৃতের পরিবারের তরফেও একই অভিযোগ উঠেছে।
ঠিক কী হয়েছিল ?
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় পেশায় একজন তবলাবাদক। এবং তিনি প্রায়ই কাটিহারে যেতে তবলা শেখানোর জন্য। এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার জন্য। ১৮ নভেম্বর তিনি প্রথমে যান কাটিহারে। সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কাটিহার থেকে ফেরার ট্রেন ধরেন। মঙ্গলবার সকালেই ছিল তার বাড়ি ফিরে আসার কথা। সকাল সাড়ে দশটা বেজে যাওয়ার পরেও যখন তিনি বাড়ি আসেননি, তখন বাড়ির লোক যোগাযোগ করে বিভিন্ন জায়গায়। শেষে হাওড়া জিআরপি-তে এসে জানতে পারে, পরিবারের সদস্য 'খুন' হয়েছে।
আরও পড়ুন, উত্তুরে হাওয়াতে মনোরম পরিবেশ, আজ কত তাপমাত্রা কলকাতায় ?
বলাইবাহুল্য, ময়নাতদন্তের পরই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে। দীর্ঘদিনের কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি ট্রেন ঘটে যাওয়া আকস্মিক ঘটনার শিকার হয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তা সময়ই জানান দেবে।এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ছে পরিবারের লোকজন। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারীর এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়েছেন তারা। ২৩ বছরের ছেলে এখনও বেকার। আগামী দিনে কীকরে সংসার চলবে তাই নিয়ে তাঁরা ভেবে কুল পাচ্ছেন না। কেন ওই কামরায় নিয়ম অনুযায়ী সিকিউরিটি গার্ড থাকবে না সেই প্রশ্ন তারা যেমন তুলছেন, একই সাথে রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে ক্ষতিপূরণের অভিযোগ জানাতে চলেছেন তারা। কেন রেলের কামরায় বারংবার এই ঘটনা ঘটছে ? প্রশ্নের মুখে এবার যাত্রী নিরাপত্তা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।