High Court: 'আইন না মানলে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ', কেন হুঁশিয়ারি বিচারপতির?
Job Recruitment: নম্বর বিভ্রাট মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উদ্দেশে নিয়োগ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কী বলেছেন বিচারপতি:
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আইন না মানা হলে নিয়োগের পরীক্ষা বন্ধ করে দেব'। এভাবেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হুঁশিয়ারি বিচারপতির। তিনি আরও বলেন, 'বন্ধুর মতো আচরণ করছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি, যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না।'
নম্বর বিভ্রাট মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
বিজ্ঞপ্তি জারি:
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অনলাইনে আবেদন করার কথা জানানো হয়েছে। সেই নির্দেশমতো আবেদনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
যখন ওই প্রক্রিয়া চলছে, তখন বুধবার আইন মেনে নিয়োগ নিয়ে হুঁশিয়ারি শোনা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়েরে মুখে। কিন্তু এমন ঘটনা কেন?
এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে ৮২ নম্বর পেলে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭-র লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থী। সংরক্ষিত বিভাগের চাকরি প্রার্থীদের জন্য এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, ২০১৭’র টেটে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সেই মামলাতেই এমন কথা বলেন বিচারপতি।
এদিনই ধুন্ধুমার:
নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার এক্সাইড মোড় এবং রবীন্দ্রসদন চত্বর। এক্সাইড মোড়ে (Exide Crossing) ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ঘিরে উত্তেজনা। পুলিশি ধরপাকড়। চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। তারপরেও কার্যত অবরুদ্ধ এক্সাইড মোড়। আন্দোলনকারীদের বাসে তুলে দিতে চাইছে পুলিশ। তাছাড়াও অসংখ্য আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। ভ্যানের তলায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ। কোনওভাবে তাঁদের সরাতে পারছে না পুলিশ (Police)। তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে বের করার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। আশুতোষ মুখার্জি রোড সম্পূর্ণ অবরূদ্ধ। রাস্তা বসে পড়ে বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হচ্ছে। সেই সময় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে। এক মহিলা আন্দোলনকারীকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায়। প্রিজন ভ্যান ছাড়াও, বাস থামিয়ে আন্দোলনকারীদের তুলে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ-আন্দোলনে চাকরিপ্রার্থীকে কামড়! পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
