Riddhi-Surangana on RG Kar Issue: 'জনসাধারণের থেকে তথ্য গোপন করা হচ্ছে..কঠিনতম শাস্তি চাই', সরব ঋদ্ধি, সুরঙ্গনারা
Riddhi Sen on RG Kar Issue: এই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুরঙ্গনা বলছেন, 'এইরকম একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটার পরে মেয়েটির ওপর দোষ চাপানো হয়েছে প্রথমে। নিজের বাড়ির ভিতরেই অনেক মেয়েরা অসুরক্ষিত থাকে।'
কলকাতা: আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জুনিয়র চিকিৎসক, বিশিষ্টজনেরা। শুধু আরজি কর নয়, মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে এনআরএস.. সমস্ত জায়গায় চলছে কর্মবিরতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই ঘটনার। নিন্দনীয় এই ঘটনার জন্য বিচার চেয়ে আজ রাস্তায় নেমেছেন কৌশিক সেন (Kaushik Sen), রেশমি সেন (Reshmi Sen), ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen) ও সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Surangana Banerjee)।
এই ঘটনায়, এবিপি আনন্দকে ঋদ্ধি বলছেন, 'এই জঘন্য ঘটনার বিচার তো চাই বটেই, কিন্তু সেই সুবিচার পাওয়ার পথে যে হস্তক্ষেপগুলো হচ্ছে, যেভাবে ঘটনাটার সরলীকরণ করা হচ্ছে, ঘটনাটা ততটাও সরল, সোজা নয়। এর মধ্যে আরও অনেকের যোগাযোগ রয়েছে। কেবল একটি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তার ঘাড়ে দোষ চাপালে চলবে না। ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠে আসছে, কেন পুলিশ প্রথমে আত্মহত্যার তত্ত্ব তুলে ধরতে চেয়েছিল সেই প্রশ্নও আসছে। জনসাধারণের থেকে অনেক তথ্য গোপন করা হচ্ছে। আমাদের দাবি, এই তথ্য গোপন করা যাবে না। আমাদের বিচার চাই আর প্রত্যেক দোষীর শাস্তি চাই।'
এই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুরঙ্গনা বলছেন, 'এইরকম একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটার পরে মেয়েটির ওপর দোষ চাপানো হয়েছে প্রথমে। এটা ভয়াবহ। কেবল চিকিৎসা ক্ষেত্র নয়, সচেতনতা প্রচারও প্রয়োজন। নিজের বাড়ির ভিতরেই অনেক মেয়েরা অসুরক্ষিত থাকে। আর হাসপাতালের মতো একটা জায়গা, যেখানে মানুষ এত মুমুর্ষু অবস্থায় আসেন, সেখানেই যদি নিরাপত্তা না থাকে আর কোথায় থাকবে?'
এই ঘটনা সম্পর্কে রেশমি সেন বলছেন, 'এই ঘটনা আমাদের প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে বলেই আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমরা তো চিকিৎসকদের ভরসাতেই রোজ কাজে যাই। আজ আমিও অসুস্থ, আমিও একজন চিকিৎসকের ভরসাতেই কাজে বেরিয়েছি। সেই চিকিৎসকেরাই যদি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা না পান, ৩৬ ঘণ্টা ডিউটির পরে যদি তাঁদের বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থাটুকু না থাকে, তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। যাদবপুরেও দেখলাম, হোস্টেলে নিশ্চিন্ত নয়, এই আরজি করের ক্ষেত্রেও দেখলাম। আমরা কাজের জায়গাকে আমাদের সেকেন্ড হোম বলি। যদি সেই দ্বিতীয় বাড়িতেই ভরসা না থাকে, তাহলে আর কোথায় থাকবে? মানুষ যদি কর্মক্ষেত্রেই নিশ্চিন্ত না হতে পারে তাহলে কর্মক্ষেত্রে অরাজকতা দেখা দেবে। সারা ভারতেই মেয়েদের কেমন যেন অন্য নজরে দেখা হয়। যদিও মেয়েদের বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় বলে আমি বিশ্বাস করি না, কিন্তু সমাজে তো মেয়েদের দিকে তাকানোই হয় অন্যভাবে। পরিকাঠামোর বদল চাই যেন মেয়েরা নিরাপদে কাজটা করতে পারে। দোষীদের কঠিন শাস্তি চাই।'
আরও পড়ুন: Abhishek-Aishwarya: ঐশ্বর্যার সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন অভিষেক, বললেন...
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।