LIVE UPDATES দিল্লি হিংসা: 'আগে সমস্যার সমাধান প্রয়োজন, রাজনৈতিক আলোচনা পরেও হতে পারে', অমিত শাহের ইস্তফা দাবি প্রসঙ্গে মমতা

Background
নয়াদিল্লি: দিল্লি পুলিশের কমিশনার হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করার আগেই এস এন শ্রীবাস্তব জানিয়ে দিলেন তাহির হুসেন হোক বা অন্য যে কেউ—পুলিশ কাউকে রেয়াত করবে না। আম আদমি পার্টির (আপ)কাউন্সিলর তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীবাস্তব বলেন, আমরা সব অপরাধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাব। সেই জন্য প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, হিংসার আবহেই সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা)-র দায়িত্বে আসেন শ্রীবাস্তব। এদিন অমূল্য পট্টনায়কের জায়গায় দিল্লির নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে ঘোষিত হয় শ্রীবাস্তবের নাম। আগামী রবিবার থেকে তিনি দায়িত্বগ্রহণ করবেন। ফলে, তাঁকে অতিরিক্ত দায়িত্বভার দেওয়া হল।
একমাস আগেই অবসর নেওয়ার কথা ছিল অমূল্য পট্টনায়কের। দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষিতে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামীকাল শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদ।
প্রসঙ্গত, সিএএ-সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দিল্লি হিংসার প্রেক্ষিতে দিল্লির পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। বিতর্ক এড়াতে এস এন শ্রীবাস্তবকে স্পেশাল কমিশনার হিসেবে দিল্লির আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এর আগে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের (সন্ত্রাসদমন) প্রধান ছিলেন শ্রীবাস্তব। তার আগে, সিআপরিএফ-এর বিশেষ ডিজি (প্রশিক্ষণ)-এর পদেও কাজ করেছেন শ্রীবাস্তব। অমূল্য পট্টনায়কের অবসরের পর, সেই শ্রীবাস্তবকেই দিল্লির পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হল।
এদিকে, এদিনই দিল্লির চাঁদবাগে আপ পুরপ্রতিনিধি তাহির হোসেনের বাড়ি পৌঁছয় ফরেনসিক দল। এই বাড়িতেই আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
গতকাল সংবাদমাধ্যম তাহিরের বাড়ি গিয়ে দেখায়, কীভাবে সেখানে পেট্রোল বোমা, অ্যাসিডের বোতল ও ইটপাথর মজুত রাখা হয়েছে। কিন্তু যেভাবে সে সব ঘাঁটাঘাঁটি করা হচ্ছিল, তাতে প্রশ্ন ওঠে, ওর ফলে ফরেনসিক প্রমাণ নষ্ট হল কি না।
তাহিরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হওয়ার পর আম আদমি পার্টি তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাসপেন্ডই থাকবেন বলে টুইট করে জানিয়েছে আপ।
দিল্লির হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩০০-র বেশি, গুলিবিদ্ধ ৮২ জন।
আইবি অফিসারের মৃত্যুর তদন্তে এফআইআর দায়ের পুলিশের। নিহতের বাবা রবীন্দ্র কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগে তিনি আম আদমি কাউন্সিলর তাহির হুসেনকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। রবীন্দ্র জানান, তিনি নিশ্চিত, তাহির হুসেন ও তাঁর সঙ্গীরা তাঁর ছেলেকে মেরে নালায় ফেলে দিয়েছিল।






















