Lata Mangeshkar Death: ‘অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগোঁ’, শুনে কান্না ধরে রাখতে পারেননি নেহরুও
Lata Mangeshkar Death: অনুষ্ঠানে নেহরুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এস রাধাকৃষ্ণনও। কিন্তু বিশিষ্ট মহলের লোকজন, সাধারণ মানুষের সামনে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি নেহরু।
কলকাতা: দেশ তখন যুদ্ধের ক্ষত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। সভা-অনুষ্ঠান করে তোলা হচ্ছে টাকা, যাতে সারিয়ে তোলা যায় ক্ষত। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকেই কাঁদিয়ে দিয়েছিলেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। তাঁর গাওয়া সেই ‘অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগোঁ’ (Ae Mere Watan Ke Logon) আজও আবেগ বাসিয়ে নিয়ে যায় দেশবাসীকে।
১৯৬২ সালের ইন্দো-চিন যুদ্ধের পর দেশ তখন কার্যত বিধ্বস্ত। তাবড় শিল্পীদের একছাতার নীচে নিয়ে ত্রাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে সর্বত্র। ১৯৬৩ সালে তেমনই দিল্লির রামলীলা ময়দানে আয়োজিত তেমনই এক অনুষ্ঠানে গাওয়ার আমন্ত্রণ পান লতা, যেখানে ২৭ জানুয়ারি বলিউডের তরফে যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের স্ত্রী-পরিবারের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের আয়োজন হয়েছিল।
অনুষ্ঠানের মাত্র দিন আগেই সুরকার কবি প্রদীপ ‘অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগোঁ’ গানটি ধরান লতাকে। রিহার্শালের সময় নেই বলে প্রথমে ওই গান গাইতে চাননি লতা। কিন্তু সুরকার জেদ ধরে বসায় রাজি হয়ে যান তিনি। সেই মতো ২৭ জানুয়ারি রামলীলা ময়দানের মঞ্চে ওঠেন। কিন্তু তাঁর ওই গানই নাড়িয়ে দিয়েছিল দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু (Jawaharlal Nehru)।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Death: মানুষ চিরকাল থাকে না, কিন্তু উনি তো দেবী! লতার স্মৃতিচারণায় হৈমন্তী শুক্লা
অনুষ্ঠানে নেহরুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এস রাধাকৃষ্ণনও। কিন্তু বিশিষ্ট মহলের লোকজন, সাধারণ মানুষের সামনে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি নেহরু। সাড়ে ৬ মিনিট ধরে গানটি গেয়ে লতা যখন মঞ্চ থেকে নেমে আসেন, সেই সময় নেহরু তাঁকে বলেন, ‘‘সত্যিকারের ভারতীয় হলে, এই গানে মন কাঁদবেই।’’
শোনা যায়, যখন প্রথম গানটির ভাবনা আসে মাথায়, তখন হাতের কাছে কিছু ছিল না। তাই মাহিম সমুদ্র সৈকতে বসে সিগারেটের প্যাকেটের ভিতরে থাকা ফয়েলে তা লিখে ফেলেন প্রদীপ। লতা চেয়েছিলেন, বোন আশাও গানে তাঁর সঙ্গে গলা মেলান। কিন্তু প্রদীপ একা লতাকে দিয়েই গাওয়ানোর পক্ষে ছিলেন।