Telegram CEO: ১০০-রও বেশি সন্তান, বিনামূল্যেই শুক্রাণু দান করেন 'ইচ্ছুক' মহিলাদের ! ফের চর্চায় টেলিগ্রামের সিইও
Pavel Durov: সমাজমাধ্যমে একবার নিজেই টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ নিজেই ঘোষণা করেছিলেন যে বিশ্বের মোট ১২টি দেশে তাঁর ১০০টিরও বেশি সন্তান রয়েছে।
Pavel Durov: টেলিগ্রামের সিইও এবং রুশ ধনকুবের পাভেল দুরভকে নিয়ে আবারও চর্চা শুরু নেটমাধ্যমে। জানা যাচ্ছে যে সমস্ত মহিলারা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে চাইছেন, তাদের বিনামূল্যে নিজের শুক্রাণু দিচ্ছেন পাভেল দুরভ (Pavel Durov)। আর সমাজমাধ্যমে একবার নিজেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে বিশ্বের মোট ১২টি দেশে তাঁর ১০০টিরও বেশি সন্তান রয়েছে। এমনকী শুধু নিজের শুক্রাণু দেওয়াই নয়, মহিলাদের আইভিএফ (IVF Treatment) চিকিৎসার সমস্ত খরচও বহন করছেন পাভেল (Telegram CEO) নিজেই। আল্ট্রাভিটা ফার্টিলিটি ক্লিনিকের সঙ্গে যৌথভাবে এই কাজ করছেন তিনি, এমনটাই জানা গিয়েছে সেই ক্লিনিকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে।
সেই আলট্রাভিটা ফার্টিলিটি ক্লিনিকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে স্পষ্টভাবে যে সেখানে আইভিএফ চিকিৎসা করালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মহিলারা টেলিগ্রামের সিইও এবং রুশ ধনকুবের পাভেল দুরভের শুক্রাণু পেতে পারেন সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য। জুলাই মাসে সমাজমাধ্যমে পাভেল দুরভ একটি দীর্ঘ পোস্টে জানান যে তিনি বিগত ১৫ বছর ধরে শুক্রাণু দান করে আসছেন। আর ২০২৪ সালে এসে এখনও পর্যন্ত মোট ১২টি দেশে ১০০-রও বেশি দম্পতি তাঁর শুক্রাণুর সহায়তায় সন্তানের জন্ম দিতে পেরেছেন। বহু বছর পরে তিনি যখন শুক্রাণু দান বন্ধ করে দিয়েছেন, তখনও একটি ক্লিনিকে তাঁর নিজের শুক্রাণু হিমায়িত রূপে রাখা রয়েছে যাতে ইচ্ছুক মহিলারা তার সাহায্যে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন, নিজের পরিচয় গোপন রেখেই।
তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত আছে পাভেল দুরভের পক্ষ থেকে। যে সমস্ত ইচ্ছুক মহিলাদের বয়স ৩৭-এর মধ্যে এবং ক্লিনিকের পরীক্ষা অনুযায়ী তাদের স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভাল, তারাই কেবলমাত্র এই শুক্রাণুর সহায়তা নিতে পারবেন। ক্লিনিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওয়েবসাইটে যে পাভেল দুরভের জৈব উপাদান ক্লিনিকের ক্রায়োব্যাঙ্কে সঞ্চিত রাখার আইনি অধিকার আছে সেই সংস্থার।
অগাস্ট মাসে প্যারিসের বাইরে বুর্গ বিমানবন্দরে পাভেল দুরভকে গ্রেফতার করা হয়। টেলিগ্রামের একটি জালিয়াতির ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়। ২০১৪ সালে তিনি রাশিয়া ছেড়েছিলেন বলে জানা যায় এবং দেশ ছাড়ার কারণ ছিল তৎকালীন দেশের শাসক তাঁকে বিপক্ষীয় দলের বিষয়ে সমাজমাধ্যমে নিজের ক্ষমতাবলে কুৎসা প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Work Culture: কোনো কথা নয়, ফোনও থাকবে বন্ধ ! অফিসের থেকে জেলও ভাল- অদ্ভুত দাবি কর্মীর