Puri Jagannath Temple : পুরীতে মহাপ্রসাদ পেতে আর হুড়োহুড়ি নয়, বড় সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কর্তৃপক্ষ
দোল দশেরা এবং নববর্ষের মতো উৎসবে মহাপ্রসাদ গ্রহণের জন্য ভক্তদের ভিড় সামলানোই কঠিন হয়ে পড়ে। দোলযাত্রার জন্য গত চার দিন ধরে মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হয়েছে।

পুরীতে গেলেই সকলে শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ গ্রহণ করতে চান। উৎসবের দিনে তো লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামে জগন্নাথ ধামে। আর মহাপ্রসাদ পেতে ভিড় জমে পুরীর মন্দিরে। সে সময় ভিড় সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। সেই কথা ভেবেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করল পুরী মন্দির কর্তৃপক্ষ। এবার মহাপ্রসাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভক্তদের জন্য একটি পৃথক ডাইনিং জোন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেখানেই জগন্নাথ দেবের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা খাবার বা মহাপ্রসাদ পরিবেশন করা হবে। পুরীর মন্দিরে যেখানে মহাপ্রভুর প্রসাদ বিক্রয় করা হয়, সেই স্থানকে বলা হয় আনন্দবাজার। এই আনন্দ বাজারে ভক্তদের ঢল নামে বিশেষ তিথিগুলিতে। স্থান সঙ্কটের কারণে শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন নতুন এই ডাইনিং এরিয়া স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর নাম দেওয়া হবে অন্নক্ষেত্র ।
দোল দশেরা এবং নববর্ষের মতো উৎসবে মহাপ্রসাদ গ্রহণের জন্য ভক্তদের ভিড় সামলানোই কঠিন হয়ে পড়ে। দোলযাত্রার জন্য গত চার দিন ধরে মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হয়েছে। সারাদিন ও প্রায় ভোররাত অবধি চলে দর্শন। শুক্রবার ভোর ৩টে নাগাদ বন্ধ করা হয় মন্দির। মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বলছেন, সারা দিন ধরেই ভিড় থাকে এই সব দিনগুলিতে। ভক্তরা সকলেই যদি আনন্দ বাজারের নির্দিষ্ট চাতালে বসে ভোগ গ্রহণ করতে চান, তাহলে স্থান সঙ্কুলান হয় না। অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। আসলে আনন্দ বাজারে এই বিপুল সংখ্যক ভক্তের বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই এই নতুন উদ্যোগ।
দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনে প্রকাশ, মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি গজপতি দিব্যসিংহ দেব একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শ্রীমন্দির পরিক্রমা প্রকল্পের আওতায়, মন্দিরের উত্তর দ্বারের বাইরে মহাপ্রসাদ গ্রহণের জন্য একটি নতুন স্থান তৈরি করা হবে। ভক্তরা আনন্দ বাজার থেকে মহাপ্রসাদ কিনতে পারবেন এবং তারপর তা নিয়ে নতুন নির্ধারিত স্থানে নিয়ে গিয়ে খেতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, যখন আনন্দ বাজার তৈরি করা হয়েছিল, এত ভক্তের সমাগম হত না হয়ত। বর্তমান সময়ের তুলনায় ভক্তদের ভিড় অনেক কম ছিল হয়ত। তাই এবার ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের জন্য সুবন্দোবস্তও করতে হবে। মন্দির প্রশাসন গুন্ডিচা মন্দিরের রান্না ঘরটিরও সংস্কারের করতে চলেছেন। রথযাত্রার সময় প্রতিদিন ৫০,০০০ জনেরও বেশি লোকের জন্য খাবার প্রস্তুত করা হয় এই রন্ধনশালা। প্রতি বছর রথযাত্রার সময় ভগবান জগন্নাথ এবং তাঁর ভাইবোনেরা নয় দিনের জন্য সেখানে ভ্রমণের জন্য আসেন। মন্দির কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা ২০২৬ সালে রথযাত্রার আগেই রন্ধনশালার সম্পূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করার। এছাড়াও দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশ, মন্দির প্রশাসন অফিসটিও নতুন স্থানে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটি নতুন অভ্যর্থনা কেন্দ্র তৈরি করা হবে। ওড়িশা সেতু ও নির্মাণ কর্পোরেশন রয়েছে এই প্রকল্পের দায়িত্বে। তাদের এই সব সংস্কারের কাজ
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে বলা হয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
