Steve Smith: কোহলির পর এবার স্টিভ স্মিথেরও খরা কাটল, দুই বছর পর এল ওয়ান ডে সেঞ্চুরি
Steve Smith Stat: নিজের ওয়ান ডে কেরিয়ারের ১২ নম্বর ও সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪০তম শতরানটি করলেন স্টিভ স্মিথ। এখনও খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে মাত্র চারজনই স্মিথের থেকে বেশি শতরান করেছেন।
কুইন্সল্যান্ড: সদ্যই ১০২১ পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরান করেছেন বিরাট কোহলি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে শতরান হাঁকান বিরাট। এবার 'ফ্যাব ফোর'-এর আরেক সদস্য স্টিভ স্মিথও শতরানের খরা কাটালেন। দীর্ঘ দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ক্রিকেটে শতরান করলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ১০৫ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন স্মিথ।
স্মিথ 'মাস্টারক্লাস'
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্য়াচের মাধ্যমেই নিজের ওয়ান ডে কেরিয়ারে ইতি টানতে চলেছেন অ্যারন ফিঞ্চ। তাঁর শেষ ওয়ান ডেতে অবশ্য ব্যর্থই হলেন ফিঞ্চ। মাত্র পাঁচ রান করে আউট হন অজি অধিনায়ক। আরেক ওপেনার ইংলিসও ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন। ১৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে একসময় বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে মার্নাস ল্যাবুশেনের সঙ্গে ১১৮ রানের তৃতীয় উইকেটের পার্টনারশিপে দলকে রক্ষা করেন স্মিথ। মন্থর পিচে ব্যাটিং একেবারেই সহজ ছিল না। সেই পিচেই নিজের দক্ষতা প্রদর্শন করলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক।
১২৭ বলে নিজের কেরিয়ারের সবথেকে মন্থর গতির ওয়ান ডে শতরান হাঁকান স্মিথ। তবে তাঁর ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে দ্রুত গতিতে রান তোলেন স্মিথ। ৫০ থেকে ১০০ রানে পৌঁছতে নেন মাত্র ৪৬ বল। স্মিথের ব্যাটিংয়ে ভর করেই অস্ট্রেলিয়া পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ২৬৭ রান করে। এই সিরিজে এটিই অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ স্কোর। শেষ ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ১৬১ রান করে। স্মিথ ১৩১ বলে ১০৫ রান করে আউট হন। এটি তাঁর ওয়ান ডে কেরিয়ারের ১২ নম্বর শতরান। ম্যাচে স্মিথের ব্যাটিং দক্ষতার পাশাপাশি তাঁর ক্রিকেটীয় মস্তিষ্কও সকলেরই নজর কাড়ে। ইনিংসের ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জিমি নিশামের বিরুদ্ধে বড় ছক্কা হাঁকান স্মিথ। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আম্পায়ারের কাছে গিয়ে নো বলের দাবি করেন।
An ODI hundred for Steve Smith after two years!
— ICC (@ICC) September 11, 2022
Watch #AUSvNZ on https://t.co/MHHfZPyHf9 (in select regions) 📺#CWCSL | Scorecard: https://t.co/MMqsSFc5GP pic.twitter.com/9wfQNoK8eS
চতুর স্মিথ
৩০ গজের গণ্ডিতে যে পর্যাপ্ত পরিমাণ কিউয়ি ফিল্ডার নেই, তা শট মারার আগেই দেখে নিয়েছিলেন স্মিথ। তাই নিয়ম অনুযায়ী বলটি নো বলই হয়। তাই জন্যই নিশামের বিরুদ্ধে ওই বলে আউট হবেন না জেনেই স্মিথ বড় শট মারার প্রচেষ্টা করেন। তিনিই এই বিষয়টি আম্পায়ারের নজর এনে নো বলও আদায় করে নেন। মাঠের মাঝে খেলার মধ্যেও স্মিথের এই ক্রিকেটীয় চতুরতা সকলকেই প্রভাবিত করেছে। অজিদের হয়ে এদিন স্মিথ ছাড়াও ল্যাবুশেন ৫২ রান করেন। শেষের দিকে অ্যালেক্স ক্যারি ৪২ ও ক্যারেমন গ্রিন মাত্র ১২ বলে ২৫ রানের ছোট্ট কিন্তু আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। কিউয়িদের হয়ে দুই উইকেট নেওয়া ট্রেন্ট বোল্টই সফলতম বোলার।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চার উইকেট নিয়ে ম্যাকগ্রার কৃতিত্বে ভাগ বসালেন স্টুয়ার্ট ব্রড