Kanyashree: কাটমানি না দেওয়ায় সরকারি কর্মীর রোষানলে! কন্যাশ্রী ফর্ম বাতিলের অভিযোগ
Malda Kanyashree News: নালিশ জানিয়ে বিডিও থেকে শুরু করে রতুয়া থানা ও জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।

করুণাময় সিংহ, মালদা: সরকারি কর্মীকে কাটমানি না দেওয়ায় কন্যাশ্রী (Kanyashree) প্রকল্পের ফর্ম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল মালদার রতুয়ায়। অভিযোগ, চাঁদমণি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কর্মী কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম ভেরিফিকেশনের সময় কাটমানি দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায়, আবেদনকারী পড়ুয়াকে বিবাহিত দেখিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয় ফর্ম। নালিশ জানিয়ে বিডিও থেকে শুরু করে রতুয়া থানা ও জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
কন্যাশ্রী ফর্ম বাতিলের অভিযোগ: রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোমপাল গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম৷ তাঁর মেয়ে সুলতানা পারভিন স্থানীয় বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণিতে পড়ে৷ দেড় বছর আগে সুলতানার বয়স ১৮ বছর হয়ে যায়৷ নিয়মমতো তিনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের কে-২ ফর্ম পূরণ করেন৷ মাদ্রাসার তরফে সেই ফর্ম ভেরিফিকেশন করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতরে৷ তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই ব্লক থেকে কন্যাশ্রীর নাম পাঠানো হবে জেলায় ৷ অভিযোগ, সুলতানার ফর্ম অনুমোদন করে ব্লকে পাঠাতে টাকা দাবি করেছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্মী ৷ সেই দাবি না মানায় তিনি তাঁর রিপোর্টে সুলতানাকে বিবাহিত বলে উল্লেখ করেন৷ এর জেরে সুলতানার ফর্ম বাতিল হয়ে যায়৷ সুলতানার অভিযোগ, "পঞ্চায়েত থেকে আমাকে বিবাহিত বলে রিপোর্ট পাঠানোয় আমার ফর্ম বাতিল হয়ে গিয়েছে ৷ এনিয়ে আমি বিডিওকে অভিযোগ দায়ের করেছি৷''
বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আনওয়ারুল হক জানান, "মেয়েটির কাছে সব শুনে আমি নিজে পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করি৷ কেন ওকে বিবাহিত দেখানো হল জানতে চাই৷ কোনও সদুত্তর না পেয়ে বিষয়টি আমি ব্লক অফিসের নোডাল অফিসার জানাই৷ কিন্তু এখনও কেন মেয়েটির নাম কন্যাশ্রী প্রকল্পে তোলা হচ্ছে না জানি না৷ মেয়েটি অবিবাহিত হলেও এবিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার এক্তিয়ার আমাদের নেই৷'' এনিয়ে বিডিও রাকেশ টোপ্পো জানিয়েছেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে ওই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হবে৷''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Vegetable Price Hike: চড় চড় করে দাম বাড়ছে সবজির, কলকাতার বাজারে অভিযানে টাস্ক ফোর্স
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
