Cooch Behar Border: ভারতে ঢুকতে চেয়ে ভিড়! শীতলখুচি সীমান্তে জলে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার বাংলাদেশি
Bangladesh Protest: সীমান্তে কড়া পাহারা বিএসএফ-এর। কেউ যেন ভারতে ঢুকে যেতে না পারে তার জন্য কড়া নজর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার, ভারতের কোচবিহারের শীতলখুচি সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের দিকে দেখা গিয়েছে এমনই ছবি। বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতির কারণেই প্রচুর মানুষ ভারতে ঢুকতে চেয়ে ওই এলাকায় জড়ো হন। সীমান্ত দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। জিরো ল্যান্ডে পৌঁছে যান তাঁরা। তাঁদের ভারতে ঢুকতে বাধা দেন বিএসএফ জওয়ানরা। তাঁদের ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিএসএফ জওয়ানরা। বহু জওয়ানদের নিয়ে আসা হয়েছে এলাকায়। পৌঁছে যায় রাজ্য পুলিশ।
বাংলাদেশের দিকে নানা জায়গায় ভিড় জমছে ভারতে ঢোকার জন্য়। এদিন যে এলাকায় এই ছবি দেখা গিয়েছে সেই শীতলখুচিতে সীমান্তে কাঁটাতার রয়েছে। কদিন আগেই জলপাইগুড়িতে বেরুবাড়িতেও সীমান্ত পেরোনের চেষ্টা করছিলেন প্রায় হাজারখানেক বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁদের রুখে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের দিক থেকে সীমান্ত পেরনোর চেষ্টা হয়। সেখানে জলের উপর দাঁড়িয়েছিলেন হাজার মানুষ। কেউ এক কোমর জল, কেউ হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে।
লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিমেষ রায় বলেন, 'বাংলাদেশের কিছু লোক আমাদের বর্ডার লাগোয়া এলাকায় জমায়েত হয়েছেন। বিএসএফ আছে। স্থানীয় পুলিশ এসেছন। বিডিও এসেছেন। আমরা এসেছিলাম দেখতে। এইদিকে ভিড় সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।' স্থানীয় এক বাসিন্দা মাসুম আখতার বলেন, 'সকাল থেকে বাংলাদেশের অনেক মানুষ এই বর্ডারে জমায়েত করছে। ওখানে সংঘর্ষ হচ্ছে। তাই অনেকে ভারতে চলে আসতে চাইছেন।'
কমিটি তৈরি ভারতের:
অরাজক পরিস্থিতিতে অশান্ত বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে কমিটি তৈরি করেছে ভারত সরকার। 'ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে বিএসএফের এডিজি, ইস্টার্ন কমান্ড। ওপারে থাকা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে কমিটি', এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।
নৈরাজ্যের বাংলাদেশে প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার তিনদিনের মাথায় পদ্মাপারের দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও, কার্যত এখনও স্তব্ধ পুলিশের পরিষেবা। বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো সূত্রে খবর, পুলিশ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও, সেদেশের সিংহভাগ থানাই এখনও চালু করা যায়নি। প্রথম আলো সূত্রে খবর, পুলিশ কর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই চিন্তিত। বর্তমানে বাংলাদেশ জুড়ে যেভাবে দুষ্কৃতী
তাণ্ডব চলছে, তাতে এখনই থানায় যোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না তাঁরা। ফলে FIR নেওয়া থেকে শুরু করে তদন্ত, সব কাজই থমকে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকার নতুন পুলিশ কমিশনার মহম্মদ মইনুল হাসান অন্তত চেয়ার-টেবিল দ্রুত থানার পরিষেবা চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই পুলিশ কর্মীদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। বিশেষ করে ঢাকায় বহু থানায় হামলা, ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে খুন হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, কমিটি গঠন ভারত সরকারের, বড় বার্তা শাহের, 'ওপারে থাকা সংখ্যালঘুদের..'