Rajya Sabha Election:বিনা লড়াইয়েই রাজ্যসভায় জয়ী বিজেপির ১ ও তৃণমূলের ৬ প্রার্থী
6 From TMC And 1 From BJP Won:ভোটের আগেই বিনা লড়াইয়ে রাজ্যসভার ৭ প্রার্থী জয়ী। বিনা লড়াইয়ে তৃণমূলের ৬ এবং বিজেপির ১ জন প্রার্থী জয়ী। রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ পদে জয়ী কোচবিহারের অনন্ত মহারাজ।
দীপক ঘোষ, নয়াদিল্লি: ভোটের আগেই বিনা লড়াইয়ে রাজ্যসভার ৭ প্রার্থী জয়ী। বিনা লড়াইয়ে তৃণমূলের ৬ এবং বিজেপির ১ জন প্রার্থী জয়ী। রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ পদে জয়ী কোচবিহারের অনন্ত মহারাজ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের রাজ্যসভায় তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন , সুখেন্দুশেখর রায় এবং দোলা সেন। সাংসদ পদে জয়ী সাকেত গোখলে, সামিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বরাইক।
তৃণমূলের জয়ী ৬জনের মধ্যে একজন জিতলেন উপনির্বাচনে। ৭টি খালি আসনে ২জন প্রার্থী দিয়েও বিজেপির একজনের মনোনয়ন প্রত্যাহার। রাজ্যসভায় প্রার্থী হয়েও বিজেপির রথীন বসুর মনোনয়ন প্রত্যাহার। ২৪ জুলাই রাজ্যসভায় ভোট, তার আগেই বাংলা থেকে ৭ জন জয়ী।
বিশদে...
সাতটি আসনে সাত জনই প্রার্থী ছিলেন। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা ভোটাভুটির প্রশ্ন ওঠেনি। এই সাতটি আসনের মধ্যে ৬টি আসনের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। ফলে এতে ভোট করাতেই হত। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ লুইজিনহো ফেলেইরো পদত্যাগ করায় সপ্তম আসনটিও খালি হয়। সেখানে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেখানে প্রার্থী করা হয়েছিল সাকেত গোখলেকে। সেখানে তিনিই জয়ী হন। এছাড়া ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশের রায়, সামিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বরাইক-ও রাজ্যসভায় গেলেন। কিন্তু বাকি যে আসনটি তাতে কী ভাবে সাংসদ হলেন বিজেপির অনন্ত মহারাজ? গত ১৩ তারিখ ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। দেখা যায়, বিজেপির দু'জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। একজন, অনন্ত মহারাজ, অন্য জন, রথীন বসু। এর পর ভোটাভুটির সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন, অর্থাৎ ১৭ জুলাইয়ের দু'দিন আগেই, মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন রথীন বসু। ফলে শনিবারের পর আর ভোটাভুটির দরকার রইল না। তবে বঙ্গ বিধানসভায় বিজেপির যা শক্তি, তার অনুপাতে এক জন প্রার্থীকেই জয়ী করতে পারে পদ্মশিবির। কারণ এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় তাদের যে শক্তি রয়েছে তাতে একজন প্রার্থীকে জেতাতে হলে বিজেপির দরকার ৪২টি প্রথম পছন্দের ভোট। আর এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে রয়েছে ৬৯ জন বিধায়ক। সুতরাং প্রথম পছন্দের ৪২টি ভোট দেওয়ার পর তাদের হাতে থাকবে ২৭টি ভোট। ফলে দ্বিতীয় কোনও প্রার্থীকে তাদের পক্ষে আর জেতানো সম্ভব হবে না। দ্বিতীয় প্রার্থীকে তাই তারা প্রত্যাহার করে নিলেন। সাতটি পদের জন্য রয়ে গেলেন ৭ জন। ২৪ তারিখ ছিল নির্ধারিত দিন। তার আগেই এই ৭জন বিজয়ী রাজ্যসভা সাংসদের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন:'বিরোধীশূন্য হওয়াটা শাসককে অসুবিধেই করে' পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মুখ খুললেন শোভন