'Mongolmoyee Maa Sheetala': ফের একবার নেতিবাচক চরিত্রে কৌশিক চক্রবর্তী, এবার বিরূপাক্ষ রূপে প্রবেশ 'মঙ্গলময়ী মা শীতলা' ধারাবাহিকে
Koushik Chakroborty: ফের নেতিবাচক চরিত্রে কৌশিক চক্রবর্তী। এবার 'মঙ্গলময়ী মা শীতলা' ধারাবাহিকে বিরূপাক্ষের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। নিজের চরিত্র নিয়ে কী বলছেন কৌশিক?
কলকাতা: সান বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'মঙ্গলময়ী মা শীতলা'-এ (Mongolmoyee Maa Sheetala) এবার নতুন চরিত্রের আগমন। বিরূপাক্ষের চরিত্রে দেখা যাবে কৌশিক চক্রবর্তীকে (Koushik Chakroborty)। আদ্যোপান্ত নেতিবাচক একটি চরিত্র। কী বক্তব্য অভিনেতার এই চরিত্রের প্রসঙ্গে?
'মঙ্গলময়ী মা শীতলা' ধারাবাহিকে নতুন চরিত্রের আগমন
ফের নেতিবাচক চরিত্রে কৌশিক চক্রবর্তী। এবার 'মঙ্গলময়ী মা শীতলা' ধারাবাহিকে বিরূপাক্ষের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। বিরূপাক্ষ চণ্ডীপুরের একজন কবিরাজ। যিবনি নিজেকে গোটা গ্রামের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান মনে করেন। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সে গ্রামবাসীদের ক্ষতি করে আর তারপর তাদের শুশ্রূষা করানোর ফাঁদ পাতে। গ্রামবাসীও তাকে ক্ষমতাশালী মনে করেন এবং সে এমনই বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে যেন সাধারণ মানুষ তাকে 'ঈশ্বর' ভাবতে বাধ্য হয়।
শীতলা যখন চণ্ডীপুরে পৌঁছয়, সে সরাসরি প্রশ্ন করে বিরূপাক্ষের ক্ষমতাকে। সে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে যে তার আসল উদ্দেশ্য কী।
নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে কী বললেন কৌশিক চক্রবর্তী?
নিজের নতুন চরিত্র প্রসঙ্গে কৌশিক চক্রবর্তী কী বললেন? অভিনেতার কথায়, 'বিরূপাক্ষ চরিত্রটি পুরোপুরি একটা নেতিবাচক চরিত্র। এখানে ইতিবাচক বলে কিছু নেই। আমার নেতিবাচক চরিত্রে কাজ করতে বরাবরই খুব ভাল লাগে। অনেক বছর পর আবার আমি এমন একটা নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছি। বিরূপাক্ষ গ্রামের প্রধান পুরোহিত। গ্রামের মানুষের অন্ধবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে মানুষের ক্ষতি করে। মঙ্গলা এটা ধরতে পারলে তখনই মঙ্গলার সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয়। দীপান্বিতা এবং গৌরব দু'জনের সঙ্গেই এটা আমার প্রথম কাজ। বিরূপাক্ষ চরিত্রটি সবেমাত্র এসেছে ধারাবাহিকে, আশা করি মানুষের ভাল লাগবে 'মঙ্গলময়ী মা শীতলা' দেখতে।'
ধারাবাহিকের গল্প একঝলকে
যখন মহাদেবের ঘামের ফোঁটা থেকে জরাসুর জন্ম নেয় এবং অদম্য হয়ে ওঠে, মহাবিশ্বের সমগ্র ভারসাম্য ধ্বংস হতে থাকে। স্বর্গের দেবতা থেকে শুরু পৃথিবীর সাধারণ মানুষ, সকলেই প্রভাবিত হন। তখনই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর আদিশক্তি মহামায়ার কাছে তাঁদের নিরাময়ের বর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। মহামায়া, তাঁদের মহাযজ্ঞ করতে বলেন, শীতলার অবতার তৈরির জন্য। ত্রিদেবের সহায়তায় পবিত্র মহাযজ্ঞ থেকে শীতলার জন্ম হয়। মহাযজ্ঞ শীতল হওয়ার পর তাঁর জন্ম হওয়ায় তাঁর নাম রাখা হয় শীতলা। তাঁরই গল্প বলছে এই ধারাবাহিক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।