Oath Taking Ceremony : দেশজুড়ে শোরগোলের মধ্যেই "#Re-NEET" লেখা টি-শার্ট পরে শপথ সাংসদের, সংসদে উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময়
Bihar MP Pappu Yadav: শপথের শেষে তিনি তুললেন একাধিক স্লোগান। যা নিয়ে সংসদে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও চলল।
নয়াদিল্লি : দেশজুড়ে NEET-NTA নিয়ে শোরগোল। এই আবহেই এবার "#Re-NEET" লেখা টি-শার্ট পরে শপথ নিলেন বিহারের নির্দল সাংসদ রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব। বিহারের পূর্ণিয়া জেলা থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। শপথের শেষে তিনি তুললেন একাধিক স্লোগান। যা নিয়ে সংসদে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও চলল।
এদিন শপথের শেষ লগ্নে তিনি স্লোগান তোলেন, "#Re-NEET, বিহারের জন্য বিশেষ মর্যাদা, সীমাঞ্চল জিন্দাবাদ, মানবতাবাদ জিন্দাবাদ, ভীম জিন্দাবাদ ও সংবিধান জিন্দাবাদ।" তাঁর এই স্লোগানের পর আপত্তি জানান ট্রেজারি বেঞ্চে থাকা সদস্যরা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান পাপ্পু যাদবও। তিনি বলেন, "আমি ছয় বারের সাংসদ। আপনি আমাকে শেখাবেন ? আপনি অন্যের দয়ায় জিতেছেন। আমি একা লড়ি।"
#WATCH | Independent MP from Bihar's Purnea, Pappu Yadav wears a t-shirt with the words 'ReNEET' on it as he takes oath as a member to the 18th Lok Sabha and concludes his oath by saying, "Re-NEET, special status for Bihar, Seemanchal Zindabad, Manavtavaad Zindabad, Bhim… pic.twitter.com/UYuwp82ypQ
— ANI (@ANI) June 25, 2024
এর আগে মেডিক্যালের এন্ট্রাস পরীক্ষা ঘিরে বিতর্ক নিয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, মামলা সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে। কারণ, বিহার পুলিশের Economic Offences Unit ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল। সেই কারণে দ্রুত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা এই বিষয়টি সংসদে তুলব। এবং এনিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবি জানাব।
NEET-UG মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে সোমবার পাঁচটি অতিরিক্ত কেস হাতে তুলে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআই। এই মামলাগুলি এর আগে গুজরাত, রাজস্থান ও বিহারের স্থানীয় পুলিশের হাতে তদন্তভার ছিল। এই পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের হাতে এই সংক্রান্ত মোট ৬টি মামলা গেল।
নিটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে তোলপাড় দেশ। এই মামলার মাস্টারমাইন্ড সঞ্জীব মুখিয়ার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সিবিআইয়ের হাতে। রীতিমতো চুক্তি করে প্রশ্ন বিক্রির কারবার করত সে। পড়ুয়াদের সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় ডিল ফিক্স হতো সঞ্জীবের। হাজার টাকার স্ট্যাম্প পেপারে তৈরি হত চুক্তিপত্র। সেখানে স্পষ্ট লেখা থাকত যাবতীয় শর্তাবলী। অ্যাডভান্স কত টাকা দিতে হবে, পরীক্ষার আগে ক'টাকা দিতে হবে, ফল প্রকাশের পরে কত টাকা দিতে হবে, সব লেখা থাকত সেই চুক্তিপত্রে। এরপর চাকরি পেলে কত টাকা দিতে হবে, চাকরি না পেলেই বা কী করণীয় সব কিছুর খুঁটি নাটি লেখা থাকত সেই চুক্তিপত্রে। সেই কাজতে সঞ্জীব মুখিয়া ও প্রশ্ন কিনতে ইচ্ছুক পড়ুয়ার সাক্ষর থাকত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ থাকলেও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারছেন না তদন্তকারীরা। সঞ্জীব মুখিয়াকে রক্ষা কবচ দিয়েছে পাটনা সেশন কোর্টের ৫ নম্বর এডিজি। আদালতের নির্দেশ এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না তার বিরুদ্ধে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।