বিহার হয়ে পালিয়ে পঞ্জাব, লুধিয়ানায় ডাকাতি করতে গিয়ে পাকড়াও মণীশ শুক্ল হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন শার্প শ্যুটার
৪ অক্টোবর, টিটাগড় থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে খুন হন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপির দাপুটে নেতা মণীশ শুক্ল। টিটাগড়ে পার্টি অফিসের সামনেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় এই বাহুবলী নেতাকে!
কলকাতা: বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল হত্যাকাণ্ডে পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে গ্রেফতার তিন শার্প শ্যুটার। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত তিনজনই বিহারের বাসিন্দা এবং পেশাদার শার্প শ্যুটার। টিটাগড়ের বিজেপি নেতা খুনে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৬।
৩ দিন আগে পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে একজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাকে জেরা করে বাকি দু’ জনের হদিশ মেলে। তিনজনকেই ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে আনা হয়েছে।
এক অভিযুক্ত ইতিমধ্যে রয়েছে সিআইডি হেফাজতে। সুজিত কুমার রাই ও রোশন কুমার যাদবকে টিআই প্যারেডের জন্য আর্জি জানালে এদিন ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত তা মঞ্জুর করে।
মণীশ-হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সিআইডির হাতে। এমনটাই দাবি সূত্রের। রাজ্য গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, বিজেপি নেতাকে খুনের জন্য ৭ জন শার্প শ্যুটারকে আনা হয় বিহার থেকে।
খুনের পরই অভিযুক্ত তিনজন বাইকে চেপে গা ঢাকা দেয় বিহারে। সেখানে থেকে উত্তরপ্রদেশ হয়ে তারা পালায় পঞ্জাবের লুধিয়ানায়। প্রত্যেকেই পেশাদার শ্যুটার।
সিআইডি সূত্রের দাবি, পঞ্জাবে ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে মণীশ-খুনে অভিযুক্ত এই তিন শার্প শ্যুটারকে। জানা গিয়েছে, ১৬ অক্টোবর লুধিয়ানায় স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি করতে গিয়ে লুধিয়ানা পুলিশের হাতে পাকড়াও হয় তিনজন।
সিআইডি সূত্রের দাবি, পুলিশের তাড়া খেয়ে বাইক থেকে পড়ে যায় ২ দুষ্কৃতী। সকলকে ধরে ফেলা হয়। সিআইডির কাছ থেকে খবর যায় লুধিয়ায়ানায়। সূত্রের খবর, জেরার মুখে মণীশ-হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার স্বীকার করেছে ধৃতেরা।
৪ অক্টোবর, টিটাগড় থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে খুন হন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপির দাপুটে নেতা মণীশ শুক্ল। টিটাগড়ে পার্টি অফিসের সামনেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় এই বাহুবলী নেতাকে!
মণীশের বাবা টিটাগড় থানায় যে এফআইআর দায়ের করেছে, তাতে নাম ছিল ব্যারাকপুরের বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা উত্তম দাস এবং টিটাগড়ের বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর।
তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। বিজেপি নেতার খুনের দিন দু’ জন কোথায় ছিলেন? খুনের নেপথ্যে তাঁদের কোনও ভূমিকা ছিল কিনা, এসব নিয়েই প্রশ্ন করা হয়।
এরপর মহম্মদ খুররম খান এবং গুলাব আলি শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। শার্প শুটারদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সুবোধ যাদবকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্যারাকপুর আদালতে সিআইডি দাবি করেছে বিহারের জেলে বন্দি কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধকান্ত সিংই মণীশ শুক্লা খুনে প্রধান অভিযুক্ত। সুবোধই বিহারের জেলে বসে খুনের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করে। সুবোধকেও ট্রানজিট রিমান্ডে বাংলায় আনতে চায় সিআইডি।