এক্সপ্লোর
Advertisement
৮ রাজ্যের ১৯ রাজ্যসভা আসনে ভোটের জোর টক্কর-বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে কোথায় কে এগিয়ে
যে ১৯ আসনের মধ্যে সেগুলির মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাতে রয়েছে চারটি করে, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে তিনটি করে, রাজস্থানে দুটি এবং মণিপুর, মেঘালয় ও মিজোরামে একটি করে আসন।
নয়াদিল্লি: দেশের ৮ রাজ্যে ১৯ টি রাজ্য়সভা আসনে আজ ভোট। এই নির্বাচনে মূলত টক্কর বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। সকাল নটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে চারটে পর্যন্ত। এরপর বিকেল পাঁচটায় ভোটগণনা।
যে ১৯ আসনের মধ্যে সেগুলির মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাতে রয়েছে চারটি করে, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে তিনটি করে, রাজস্থানে দুটি এবং মণিপুর, মেঘালয় ও মিজোরামে একটি করে আসন।
এরমধ্যে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। দুই দলই সর্বাধিক আসন জিততে মরিয়া।
গুজরাতে রাজ্যসভার চার আসনে নির্বাচন। জুনে তিন ও মার্চে পাঁচ বিধায়ক পদত্যাগ করায় ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেসের আসন কমে হয়েছে ৬৫। দ্বিতীয় আসনে জিততে দলের আরও ছয়টি ভোট প্রয়োজন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, দ্বিতীয় আসনটিতে আর একটি ভোট পেলেই তারা জয়ী হবে। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা রাজীব সাতাভ বলেছেন, দুটি আসনে জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী, আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যা রয়েছে।
অন্যদিকে, চার আসনের মধ্যে বিজেপি তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তাঁরা হলেন অভয় ভরদ্বাজ, রমিলা বারা ও নরহরি আমিন। বিধায়কদের পদত্যাগের মধ্যেও কংগ্রেস দুটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।দুই কংগ্রেস প্রার্থী শক্তিসিন গোহিল ও ভারতসিন সোলাঙ্কি।
১৮২ সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভায় শক্তি অনুযায়ী, বিজেপির দুটি আসনে জয় কার্যত নিশ্চিত। অন্যদিকে, বিধানসভায় বর্তমান শক্তি অনুযায়ী কংগ্রেস একটি আসন পাবে। সেজন্য চতুর্থ আসনের জন্য দুই দলের কড়া টক্কর গুজরাতে।
বর্তমানে বিধানসভায় মোট সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭২। রাজ্যসভা আসনে নির্বাচনের পদ্ধতি অনুসারে, কোনও প্রার্থীকে জিততে দলে ন্যুনতম ৩৫ টি ভোট পেতে হবে।
এই অঙ্কে চতুর্থ আসনের ভাগ্য নির্ধারণে ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি (বিটিবি)-দুই বিধায়ক ও এনসিপি-র এক বিধায়কের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বিজেপির দাবি, রাজ্যের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। রাজ্যে দলের বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৪। কিন্তু এরপরও তিনটি আসনে জয় নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও একটি ভোটের প্রয়োজন বিজেপির।
রাজস্থানে কংগ্রেস সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে। কিন্তু বিজেপি দ্বিতীয় আসনে জয়ের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজ্যের চারটি রাজ্যসভা আসনের ভোটে প্রার্থী চারজন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দুটি আসনে তারা সহজেই জিতবে। যদিও বিএসপি তাদের ছয় বিধায়কের কংগ্রেসে সামিল হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছে। কংগ্রেস তাদের বিধায়কদের রিসর্টে রেখেছে। চতুর্থ প্রার্থী হিসেবে ওঙ্কার সিংহ লাখাওয়াতকে দাঁড় করিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশেও রাজ্যসভা আসনের নির্বাচন ঘিরে টানটান উত্তেজনা। সেখানে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিদ্রোহে কংগ্রেসের কমলনাথ সরকারের পতন হয়েছে। সেই জ্যোতিরাদিত্য রাজ্যসভার ভোটের লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থী। দ্বিতীয় কংগ্রেস প্রার্থী ফুল সিং বারাইয়ার জয়লাভ খুবই কঠিন। যদিও কংগ্রেস এক্ষেত্রে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিংহ একটি আসন থেকে নির্বাচিত হতে চলেছেন।
এরইমধ্যে মণিপুর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অভ্যূত্থান কংগ্রেসের পক্ষে সুবিধাজনক হয়েছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে অপারেশন কমল-এর উল্টো ঘটেছে। এই রাজ্যে কংগ্রেসে টি মাঙ্গি বাবুকে প্রার্থী করেছে। বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন রাজা লেইশেম্বা সানাজাওবা।
মণিপুরের এক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, বিজেপি ওই আসন ও রাজ্যে সরকার খোয়াতে চলেছে। বড় রাজ্যগুলিতে বিজেপি বিধায়কদের দলে টানার কাজে ব্যস্ত ছিল। এখানে আমরা ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরিয়ে দিয়েছি।
মেঘালয়ে শাসক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি প্রার্থী করেছে ওয়ানওয়েই রয় খারলুখিকে। কংগ্রেস কেনেডি কোর্নেলিয়াস খিয়েমকে প্রার্থী করেছে। বিধানসভার পাটিগণিতের হিসেবে এনপিপি প্রার্থী জয় কার্যত নিশ্চিত। কারণ, এনপিপি নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্য সংখ্যা ৩৯। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্য সংখ্যা ২১।
মিজোরামে রাজ্যসভার একটি আসনের জন্য ত্রিমুখী লড়াই। শাসত মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ), জোলাম পিপলস মুভমেন্ট (জেডপিএম) ও কংংগ্রেসের মধ্যে লড়াই। ৪০ সদস্যের মিজোরাম বিধানসভায় এমএনএফের রয়েছে ২৭, জেডপিএমের সাত, কংগ্রেসের পাঁচ ও বিজেপির এক বিধায়ক।
ঝাড়খণ্ডে নিজেদের প্রার্থী শাহজাদা আনওয়ারকে জেতানোর জন্য কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের প্রয়োজনীয় সংখ্যা যোগাড় করতে পারবে বলে কংগ্রেস আশা করছে। কিন্তু যেমন পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে কংগ্রেসের ওই আশা পূরণের সম্ভাবনা ক্ষীণ। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা আরপিএন সিংহ বলেছেন, বিজেপির দুটি ভোট কম রয়েছে। এজন্য আমরা বিধায়কদের কংগ্রেসের পক্ষে ভোটদানের ব্যাপারে বোঝানোর চেষ্টা করছি। যদিও সূত্রের খবর, এজেএসইউ বিজেপিকেই সমর্থন করবে। সেক্ষেত্রে জেএমএমের শিবু সোরেন ও বিজেপির দীপক প্রকাশ রাজ্যসভার সদস্য হতে চলেছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশে জগন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক এগিয়ে এবং চার আসনেই সহজেই তারা জয়ী হতে চলেছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
খবর
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement