Sushil Modi: ছাপা হচ্ছে ২০০০ এর নোট? কী বলছেন BJP সাংসদ
BJP MP On 2000 Rupee Currency Notes: বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদির দাবি, ২০০০ হাজার টাকার নোট জমিয়ে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদে মদত ও মাদকপাচারের কাজে ব্য়বহার করা হচ্ছে।
![Sushil Modi: ছাপা হচ্ছে ২০০০ এর নোট? কী বলছেন BJP সাংসদ People Have Hoarded 2000 Rupee Currency Notes And Are Using It For Terror Funding Claims BJP MP Sushil Modi Sushil Modi: ছাপা হচ্ছে ২০০০ এর নোট? কী বলছেন BJP সাংসদ](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/12/13/91972620fa5fbc4260551be0fc6404bb1670901399641482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: বছরতিনেক আগেই ২০০০ হাজার টাকার (2000 rupees currency note) নোট ছাপানো (print) বন্ধ করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। কিন্তু বিজেপি সাংসদ (BJP MP) সুশীল মোদির (sushil modi) দাবি, ২০০০ হাজার টাকার নোট জমিয়ে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদে মদত ও মাদকপাচারের কাজে ব্য়বহার করা হচ্ছে। 'ব্ল্যাক মানি'-তেও ব্যবহৃত হচ্ছে এটি, অভিযোগ বিজেপি রাজ্য়সভা সাংসদের। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন মন্তব্য তাঁর?
কেন এমন মন্তব্য?
সোমবার রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ বলেন, '২০১৬ সালে বাতিল হওয়া ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের বিকল্প হিসেবে ২ হাজার টাকার নোট এনেছিল আরবিআই। কিন্তু বেশ কিছু কারণে গত তিন বছর ধরে এই নোটের মুদ্রণ বন্ধ। ফলে ২ হাজার টাকার নোটের হোর্ডিং এবং কালোবাজারি বাড়ছে।' তাঁর মতে, স্বল্প অঙ্কের নগদে থাকা আমজনতার বৈধ অর্থ যাতে পুরোপুরি রূপান্তরিত করা যেতে পারে, সে জন্য তাঁদের আরও সময় দেওয়া দরকার। এই প্রসঙ্গে অন্য দেশের উদাহরণও টানেন তিনি। বলেন, 'বহু আধুনিক দেশেই ছোট অঙ্কের নোট চালু রয়েছে। আমেরিকায় যেমন সর্বোচ্চ অঙ্কের নোট ১০০ ডলার, চিনের সর্বোচ্চ অঙ্কের নোট ১০০ ইউয়ান, কানাডায় ১০০ ক্যাড, ইউরোর ক্ষেত্রে ২০০ ইউরো। মাদক পাচার, আর্থিক নয়ছয়, সন্ত্রাসবাদে মদত এবং করফাঁকির মতো বেআইনি কার্যকলাপ আটকাতে ইইউ ২০১৮ সালে ৫০০ ইউরোর নোট বাতিল করে। ২০১০ সালে একই পথে হেঁটে ১০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলারের নোট বাতিল করে সিঙ্গাপুর।' সুশীল মোদির বক্তব্য, যেহেতু ভারত এখন ডিজিটাল লেনদেনের হাব হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাই এখানে ২০০০ টাকার নোটের প্রয়োজন কম। ২০১৬ সালে কালো টাকা, দুর্নীতি এবং জালনোট রোধে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে গোটা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী শিবির থেকে অর্থনীতিবিদ, নানা মহলের বিপুল সমালোচনার মুখে পড়ে সেই পদক্ষেপ। কিন্তু স্বয়ং দলীয় সাংসদের বক্তব্যে ২ হাজার টাকার নোট নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি।
কী ঘটেছিল?
কোনও আগাম সূচনা ছাড়াই ২০১৬-র ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, মধ্যরাত থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট বন্ধ হচ্ছে। এরপর ৫০০ ও ১০০০ টাকা দিয়ে কোনও লেনদেন করা যাবে না, ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে জানান, বদলে বাজারে শীঘ্রই আসতে চলেছে ৫০০ ও ২০০০ টাকার নতুন নোট। তাঁর যুক্তি ছিল, কালো টাকা, দুর্নীতি এবং জালনোট রোধে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু, যাঁদের কাছে পুরনো ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট রয়েছে, তাঁরা কী করবেন? উপায়ও বাতলে দিয়েছিলেন মোদি। জানিয়েছিলেন, ওই বছরের ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো নোট ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে। কেন্দ্রের এই আচমকা সিদ্ধান্তের বিপুল সমালোচনা শুরু করে বিরোধী শিবির। পথে নামার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রিজার্ভ ব্যাঙ্কেও যান তিনি। ছ'বছর পরও সমালোচনার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন:"শুভেন্দু কই ? ডিসেম্বরে নাকি সরকার পড়ে যাবে", ১২ কাটতেই তীব্র কটাক্ষ কুণালের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)