![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Samples from Moon: শিবশক্তি পয়েন্ট থেকে তুলে আনা হবে মাটি ও পাথর, পরবর্তী চন্দ্রাভিযানে প্রস্তুত ISRO
ISRO Next Mission: চন্দ্রযান অভিযানের আওতায় এখনও পর্যন্ত চন্দ্রপৃষ্ঠেই চাঁদের মাটির নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
![Samples from Moon: শিবশক্তি পয়েন্ট থেকে তুলে আনা হবে মাটি ও পাথর, পরবর্তী চন্দ্রাভিযানে প্রস্তুত ISRO ISRO all set to launch next mission to collect soil and rock samples from the moon by 2028 Samples from Moon: শিবশক্তি পয়েন্ট থেকে তুলে আনা হবে মাটি ও পাথর, পরবর্তী চন্দ্রাভিযানে প্রস্তুত ISRO](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/11/19/ad8522264cb127f82ec7c0b87dbb29a31700333181393338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: পালকের মতো চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস রচিত হয়েছে। এবার আরও একধাপ এগনোর পথে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাটি এবং পাথরের নমুনা সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে তারা (Samples from Moon)। আপাতত প্রস্তাবিত অভিযানের নাম রাখা হয়েছে Lunar Sample Return Mission (LSRM).
চন্দ্রযান অভিযানের আওতায় এখনও পর্যন্ত চন্দ্রপৃষ্ঠেই চাঁদের মাটির নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পেলোড এবং যন্ত্রপাতির সাহায্যেই নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান। যেখানে চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোঁয় চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’, ওই জায়গার নাম রাখা হয়েছে শিবশক্তি পয়েন্ট। সেখান থেকেই মাটি তুলে আনা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (ISRO Next Mission)
ISRO-র Space Application Centre (SAC)-এর ডিরেক্টর নীলেশ দেসাই শুক্রবার পুণেতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, “আরও বড় অভিযানের পরিকল্পনা করছে ISRO, যেখানে শিবশক্তি পয়েন্ট থেকে চাঁদের মাটি এবং পাথরের নমুনা পৃথিবীতে বয়ে আনা হবে। আশাকরি, আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব আমরা।”
আরও পড়ুন: Martian Green Sky: লালগ্রহ মঙ্গলের আকাশ হঠাৎই সবুজ, এই প্রথম চাক্ষুষ করলেন বিজ্ঞানীরা
চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাটি এবং পাথরের নমুনা সংগ্রহ করতে চারটি মডিউল ব্যবহার করা হতে পারে, ট্রান্সফার, ল্যান্ডার, অ্যাসেন্ডার এবং রিএন্ট্রি মডিউল। তাই দু'টি পৃথক উৎক্ষেপক যানও ব্যবহার করতে হবে। তাই এই অভিযান সবদিক থেকেই ব্যতিক্রমী হতে চলেছে। নীলেশ বলেন, "নমুনা সংগ্রহ এবং ফের পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইন লঞ্চ ভেহিকল (GSLV) মার্ক-২ ব্যবহার করতে হবে। উৎক্ষেপণ এবং অবতরণের জন্য ব্যবহার করা হবে লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩।"
চাঁদের মাটি এবং পাথর সংগ্রহ করতে একটি যন্ত্রচালিত হাত ব্যবহার করা হবে। মাটি-পাথর তুলে অ্যাসেন্ডার মডিউলে মজুত করা হবে। এর পর চাঁদের মাটি থেকে মাটি এবং পাথর নিয়ে ট্রান্সফার মডিউলের সঙ্গে ফের জুড়ে যাবে অ্যাসেন্ডার মডিউলটি। যন্ত্রচালিত হাত সংগৃহীত মাটি-পাথর রি-এন্ট্রি মডিউলে চালান করবে। তার পর ট্রান্সফার এবং রিএন্ট্রি মডেল পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবে।
চন্দ্রযান-৩ মহাকাশ যেমন চাঁদের বুকে একচন্দ্রদিবস কাজ করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে ১৪ দিন, চাঁদের বুক থেকে মাটি এবং পাথর সংগ্রহ করতেও ওই একই সময়ব্যাপী অভিযান চালানো হবে। ২০২৮ সালে এই অভিযান চালানো হবে বলে এখনও পর্যন্ত অনুমান করা হচ্ছে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA ইতিমধ্যেই এই কাজে সাফল্য় আর্জন করেছে। পৃথিবীর গা ঘেঁষা থাকা গ্রহাণু 'বেন্নু' থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে বয়ে এনেছে তাদের OSIRIS-REx মহাকাশযান। সাত বছর পর আবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছে মহাকাশযানটি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)