Ranji Trophy: সারাদিনে পড়ল মাত্র ৩ উইকেট! নষ্ট সুযোগও, জলজ-সলমন জুটিতে ম্লান ঈশানের পাঁচ
Bengal vs Kerala: বাংলা শিবিরের কেউ কেউ বলছেন, আম্পায়ারের কয়েকটি সিদ্ধান্ত তাঁদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। দুটি ন্যায্য এলবিডব্লিউ নাকি দেওয়া হয়নি।
কলকাতা: ক্রিকেটে একটা কথা আছে। ক্যাচ ধরো, ম্যাচ জেতো। কে-ই বা ভুলতে পারে ১৯৯৯ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সেমিফাইালে স্টিভ ওয়র সেই অমর উক্তি। হার্শেল গিবস তাঁর সহজ ক্যাচ ফেলে দেওয়ার পর দুঁদে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপটাই তো ফেলে দিলে হে...’। সত্যিই সেবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যে কথাকে ক্রিকেটের অমোঘ বাক্যে পরিণত করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
সোমবার ভরদুপুরে সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে (Ranji Trophy) কি বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদারকেও সেরকম কিছু বলেছেন জলজ সাক্সেনা (Jalaj Saxena)? ঈশান পোড়েলের বলে ৭২ রানে থাকা জলজের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন অনুষ্টুপ। তারপর হয়তো আর দুর্দান্ত কোনও বড় স্কোর করেননি জলজ। আর ১২ রান যোগ করে ব্যক্তিগত চুরাশিতে ফেরেন সূরয সিন্ধু জয়সওয়ালের বলে। তবে বাংলা শিবিরের শরীরী ভাষাকে নতজানু করে ছাড়েন কেরলের ক্রিকেটার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাটে হোক বা বলে, অভিজ্ঞতায়, সাফল্যে সেরাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেন জলজ। রবিবার শেষ বেলায় কেরল ৫১/৪ হয়ে কাঁপছিল। তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ঈশান। সেখান থেকে সোমবার সকালে ৮৩/৬। ঈশানের পঞ্চবাণ। পাঁচ উইকেট নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চকে স্মরণীয় করে রাখলেন চন্দননগরের পেসার।
বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা সে সময় ভেবেছিলেন, একশোতেই বুঝি মুড়িয়ে দেওয়া যাবে প্রতিপক্ষকে। তারপর ঝড়ের গতিতে রান তুলতে পারলে কে বলতে পারে মরা ম্যাচেও প্রাণের সঞ্চার হবে না? বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল যে রবিবারই ঘোষণা করে দিয়েছেন, বৃষ্টি ও ভেজা মাঠে পৌনে দুদিন নষ্ট হওয়ার পরেও জয়ের জন্য ঝাঁপাবেন।
কিন্তু অন্যরকম কিছু ভেবেছিলেন জলজ ও আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা সলমন নিজার। সপ্তম উইকেটে দুজনে ১৪০ রান যোগ করে ম্যাচের রম পাল্টে দিলেন। জলজ ফিরে গেলেও ন’নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন কেরলের উইকেটকিপার মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ৩০ রানে অপরাজিত তিনি। সঙ্গে সলমন ব্যাট করছেন ৬৪ রানে। অষ্টম উইকেটে দুজনে এখনও পর্যন্ত ৪৪ রান যোগ করেছেন। খেলে দিয়েছেন ১৪.৫ ওভার। ১০২ ওভার ব্যাট করে তৃতীয় দিনের শেষে কেরলের স্কোর ২৬৭/৭। সারাদিনে পড়ল মাত্র ৩ উইকেট। উঠল ২১৬ রান।
বাংলা শিবিরের কেউ কেউ বলছেন, আম্পায়ারের কয়েকটি সিদ্ধান্ত তাঁদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। দুটি ন্যায্য এলবিডব্লিউ নাকি দেওয়া হয়নি। তবে দিনের শেষে শেষ কথা বলে স্কোরবোর্ডই। সে যতই নেভিল কার্ডাস তাকে গাধা আখ্যা দিন না কেন!
পাশাপাশি স্পষ্ট হয়ে গেল, কেন সল্ট লেকে খেলা নিয়ে সায় ছিল না বাংলা দলের। পিচ এক ইনিংসেই কার্যত পাটা। বল হাঁটুর ওপর উঠছে না। চেতেশ্বর পূজারা ঘরানার কেউ ব্যাট করতে নামলে পাঁচদিনও নট আউট থেকে যেতে পারেন। এই পিচ থেকে, এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট বার করাও মঙ্গলবার বাংলার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হতে পারে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।