(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bankura News: গন্ধেশ্বরীর জলের তোড়ে ভাঙল সেতু ! যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, 'দায়ী রাজ্য সরকার ও TMC..'
Bankura Gandheswari Bridge Damage Accused TMC: বছর দুয়েক আগে বন্যার জলে ভেঙে গিয়েছিল সেতুর একাংশ, ফের ফিরল সেই ছবি বাঁকুড়ায়, শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল BJP..
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: সংস্কারের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের গন্ধেশ্বরী নদীর জলের তোড়ে ভাঙল সেতুর একাংশ। ভাসল সংযোগকারী রাস্তা, সংস্কারের মান নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর।
বছর দুয়েক আগে বন্যার জলে ভেঙে গিয়েছিল সেতুর একাংশ। ভেসে গিয়েছিল সেতুর সংযোগকারী রাস্তা। গতবছর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সেই সেতু ও সংযোগকারী রাস্তা মেরামতও করা হয়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ঘূর্ণাবর্তের ভারী বৃষ্টিতে ভেসে গেল সেতুর ওই অংশ ও সংযোগকারী রাস্তা। স্বাভাবিকভাবেই সংস্কারের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের গন্ধেশ্বরী নদী তীরবর্তি এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
বাঁকুড়ার অন্যতম বর্ধিঞ্চু গ্রাম মানকানালি। বাঁকুড়া থেকে এই মানকানালি যেতে হলে একমাত্র মাধ্যম মানকানালি গ্রাম লাগোয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সেতু। তাছাড়াও ওই সেতু দিয়ে চলাচল করেন করনজোড়া, মগরা, সোনার এক সহ বহু গ্রাম। বছর দুয়েক আগে বর্ষায় গন্ধেশ্বরী নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেতুর উপর দিয়ে বেগে বইতে শুরু করে জল। সেতুতে বাধা প্রাপ্ত হয়ে জল সংযোগকারী রাস্তা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ সেতুও। বছর খানেক আগে সেতুটি মেতামতির জন্য বাঁকুড়া জেলা পরিষদ প্রায় সাড়ে সাতান্ন লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। বরাদ্দকৃত সেই টাকায় সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ অংশ মেরামতির পাশাপাশি সংযোগকারী রাস্তাটিও সংস্কার করা হয়। কিন্তু ফের বিপত্তি।
গত বুধবার থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গতকাল গন্ধেশ্বরী নদী ফুলেফেঁপে ওঠে। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় গতকাল দিনভর সেতুর উপর দিয়ে বেগে বয়ে যায় জল। আজ নদীতে জলস্তর নামতেই দেখা যায় মানকানালি সেতুর সংস্কার করা অংশ ফের ভাসিয়ে নিয়ে গেছে নদীর জল। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ওই রাস্তায়। দুর্ভোগে পড়েন নদীর অপর পাড়ে থাকা আট থেকে দশটি গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন, প্লাবনের আশঙ্কা হাওড়া-সহ এই ৫ এলাকায় ! 'রাজ্য না জানিয়েই' ১ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে DVC ?
স্থানীয়দের দাবি, অতি নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে সেতু মেরামতি ও সংযোগকারী রাস্তা সংস্কারের ফলেই এমন বিপত্তি ঘটেছে। এদিন খবর পেয়ে সেতু পরিদর্শনে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। সেতুর এই হালের জন্য তাঁরা কাঠগোড়ায় তুলেছেন রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, 'সংস্কারের কাজে ব্যপক দুর্নীতি হওয়ার ফল এখন সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।' অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, সংস্কারের এক বছরের মধ্যে সেতুর ওই অংশ কেন বেহাল হয়ে পড়ল তার যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।