Paschim Medinipur News: ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার 'অছিলায়' গায়েব সাড়ে ২২ হাজার টাকা, সাইবার-জালিয়াতির অভিযোগ বেলদায়
Cyber Fraud: ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ! দু'দফায় প্রতারিতের অ্য়াকাউন্ট থেকে সাড়ে বাইশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সাইবার-জালিয়াতদের বিরুদ্ধে।
অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ! দু'দফায় প্রতারিতের অ্য়াকাউন্ট (account) থেকে সাড়ে বাইশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সাইবার-জালিয়াতদের (cyber fraud) বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের (paschim medinipur) বেলদা (belda) থানার ১২ নম্বর তুতরাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঈসবপুর গ্রামের চন্দন দাস নামে এক বাসিন্দার সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে।
কী হয়েছিল?
অভিযোগকারীর দাবি, একটি জনপ্রিয় মাইক্রো-ফিনান্স সংস্থার নাম করে গত পরশু তাঁর কাছে ফোন আসে। ফোনের ও পার থেকে এক জন মহিলা নিজের পরিচয় উন্নতি প্যাটেল বলে জানিয়েছিলেন। দাবি করেন, তিনি ওই মাইক্রো-ফিনান্স সংস্থারই কর্মচারী। ফোনে বলা হয়, সংস্থার তরফ থেকে চন্দন দাসকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। তাই তাঁর আধার কার্ড-সহ সব রকম পরিচয়পত্রের তথ্য প্রয়োজন। তথ্য় যাচাই করার জন্য চন্দনের এসবিআই ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের বিশদ বিবরণ জানতে চাওয়া হয়। অভিযোগকারীর বক্তব্য, সেই সঙ্গেই তাঁকে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ১ টাকার লেনদেন করতে বলা হয়েছিল। তিনি সেই মতো ১ টাকার লেনদেন করেন। কিন্তু কারও কোনও সঙ্গে ওটিপি দেওয়া-নেওয়া করেননি। তার পরও তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে ২০ হাজার টাকা, তার পর আড়াই হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন চন্দন। বিষয়টি জানিয়ে টাকা ফেরতের কথা বলে আর কোনও উত্তর আসেনি বলে দাবি অভিযোগকারীর। অপেক্ষা করে পর দিন অর্থাৎ শনিবার সকালে যে নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন এসেচিল, সেই নম্বরেই ফোন করেন চন্দন। টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়টি জানতে চান। ফের তাঁকে ওই মাইক্রো-ফিনান্স সংস্থার নাম করেই বলা হয়, বিকল্প আর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিলে পুরো টাকা ফেরত করে দেওয়া হবে। অভিযোগকারী তখনই টের পান, তিনি প্রতারণার শিকার। আর দেরি না করে তড়িঘড়ি বেলদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চন্দন দাস। অভিযোগ হয়েছে মেদিনীপুর সাইবার ক্রাইমেও। তাঁর কথায়,'ওই সংস্থার নাম করে আমাকে একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। তার পর সমস্ত নথি হোয়াটসঅ্যাপ মারফত চাওয়া হয়। সব কিছু হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়ার পর আমার সাড়ে বাইশ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।' তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে নথি চেয়ে জালিয়াতি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই নম্বরে শনিবার দুপুর থেকে একাধিক বার ফোন করা হলেও কেউ ধরেননি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বেলদা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন:নেই আলো, রাস্তা বেহাল, ওভারলোডেড লরি, খিদিরপুর দুর্ঘটনায় উঠল একাধিক প্রশ্ন