Heart Disease Risk in Women : এই সময়ের পরই মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হঠাৎই বাড়ে মারাত্মকভাবে !
Heart Attack Risk in Women : মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়ে যায় পুরুষদের অনুপাতে । এই সময়টা আসার আগেই সতর্ক হওয়া আবশ্যক।
কলকাতা : হার্ট অ্যাটাক ( Heart Attack ) । এই আঘাত এখন শুধু বয়স্কদের নয়, ভাবাচ্ছে তরুণদেরও। ইদানীং হার্টের সমস্যা নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই কমবয়সি। হার্ট অ্যাটাক থেকে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে লক্ষণীয় হারে। জিনগত কারণে বা জন্মগত ভাবে কিছু হার্টের সমস্যা আছে, এমন রোগী ছাড়া, শুধুমাত্র জীবনযাত্রার কারণে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের কেসের সংখ্যা। তবে এক্ষেত্রে একটা বয়স অবধি মহিলারা অনেকটাই সুরক্ষিত, আবার একটা সীমারেখা পেরলে মহিলারা ততটাই বিপদের দিকে ঝুঁকে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন, চিকিৎসক অর্পণ চক্রবর্তী ( ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ) ।
মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়ে যায় পুরুষদের অনুপাতে
পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে যদি পরিসংখ্যান বা প্রবণতা নিয়ে তুল্যমূল্য বিচার করা হয়, তাহলে দেখা যাবে, কম বয়সি মহিলাদের হার্টের অসুখের প্রবণতা কম। যাঁর অন্যতম কারণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিমেল হরমোন - ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন । মেনোপজের আগে পর্যন্ত এই হরমোনগুলি ক্ষরণ হয় মহিলাদের শরীরে, যা হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে একটি বর্মের মতো কাজ করে। কিন্তু মেনোপজ হলেও থমকে যায়, এই হরমোন গুলির ক্ষরণ। আর তখনও মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়ে যায় পুরুষদের অনুপাতে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে মধ্য চল্লিশ পের হলে মেনোপজ ঘটতে পারে। আর এর শুরুটা হয় এই ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোন ক্ষরণ হ্রাস পাওয়া দিয়ে। আর তখনই মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে।
আরও পড়ুন :
Heart Attack : বুকে ব্যথা ছাড়াও মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ গুলি ঠিক কেমন
কেন বাড়ে বিপদ
দ্বিতীয়ত ভারতে মহিলারা এখনও অবধি নিজেদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে উদাসীন। বাড়ির অন্যদের খেয়াল রাখতে রাখতে তাঁরা নিজেদের শরীরের অস্বস্তিতে সেভাবে গুরুত্বই দেন না। আর এতেই বাড়ে বিপদ।
এক্সারসাইজের অভাব
তৃতীয়ত মধ্য বয়সে সচেতনতার অভাবে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে শুরু করে। সেখান থেকেই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে থিতু জীবনযাত্রা। এক্সারসাইজের অভাব হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় ।
হঠাৎ করে ঢাল সরে যাওয়া
চতুর্থত মনে রাখতে হবে, যে মেনোপজের আগে যে হরমোনগুলি হার্টকে ঢালের মতো সুরক্ষিত রাখছিল, তারা রাতারাতি সরে যাওয়ায়, মহিলাদের হার্টের অবস্থা হয় যুদ্ধক্ষেত্রে একাকী সৈন্যর মতো। তাই সাবধান হতে হবে আগে থেকেই।
রক্তবাহিকাগুলির গঠনগত দিক
পঞ্চমত, ভারতীয় মহিলাদের হার্টের রক্তবাহিকাগুলি অনেক ছোট ছোট। গঠনগত কারণেই হার্টের যেকোনও চিকিৎসার ক্ষেত্রেই রেসপন্স করার বিষয়টি মহিলাদের একটু হলেও পুরুষদের ক্ষেত্রে কম।
বুকে অসহ্য যন্ত্রণা বা অ্যানজাইনা ছাড়াও মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি অন্যভাবে আসতে পারে। অ্যানজাইনা অর্থাৎ বুকে ব্যথা যা প্রায়শই কাঁধ, বাহু এবং ঘাড়েও ছড়িয়ে পড়ে। হৃৎপিণ্ডে অপর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহের কারণে এই সমস্যাগুলো বাড়ে।
- হালকা থেকে বেশি শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
- যখন মনে হয়, শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হচ্ছে । একটু অক্সিজেন পেলে ভাল হত।
- প্রচণ্ড ঘাম হওয়া।
- হঠাৎ মাথা ঘুরে যেতে পারে।
- রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া ।
- হালকা ফেন্টিং অ্যাটাক হওয়া
- অনিয়মিত হার্ট বিট । হঠাৎ বুক ধড়ফড়ানি হওয়া ।
চিকিৎসক অর্পণ চক্রবর্তী
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )