Statue Of Equality: রামানুজচার্যকে শ্রদ্ধার্ঘ মোদির, পদ্মশোভিত ১০০০ কোটির মূর্তি উদ্বোধন হায়দরাবাদে
Statue Of Equality: সমাজের সব স্তরের মানুষের সমানাধিকারের পক্ষে ছিলেন রামানুজচার্য। তাই ওই মূর্তির নাম রাখা হয়েছে ‘স্ট্যাচু অফ ইকোয়ালিটি’ (Statue of Equality)।
হায়দরাবাদ: ধুঁকতে থাকা ভক্তি আন্দোলনে প্রাণ জুগিয়েছিলেন তিনি। ১১ শতকের সেই প্রখ্যাত বৈদিক সন্ত তথা দার্শনিক শ্রী রামানুজচার্যকে ( Saint Sri Ramanujacharya) শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার হায়দরাবাদে রামানুজচার্যের ১২০ ফুটের মূর্তির উন্মোচন করবেন তিনি। সমাজের সব স্তরের মানুষের সমানাধিকারের পক্ষে ছিলেন রামানুজচার্য। তাই ওই মূর্তির নাম রাখা হয়েছে ‘স্ট্যাচু অফ ইকোয়ালিটি’ (Statue of Equality)।
এ দিন হায়দরাবাদে ইন্টারন্যাশনাল ক্রপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর দ্য সেমি-আরিড ট্রপিকস (ICRISAT)-এর ক্যাম্পাসের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন মোদি। সেখান থেকে বেরিয়ে বিকেল ৫টা নাগাদ মূর্তির উন্মোচন করবেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু এবং বৈদিক সমাজের তাবড় জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শ্রী চিন্না জীয়র স্বামী আশ্রমের ৪০ একর জমিতে রামানুজচার্যের মূর্তিটি গড়ে তোলা হয়েছে। উপবীষ্ট অবস্থায় তাতে রামানুজচার্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেটির উচ্চতা ২১৬ ফুট। উপবিষ্ট অবস্থায় পৃথিবীতে যত মূর্তি রয়েছে, রামানুজচার্যের নবনির্মিত মূর্তিটি উচ্চতার নিরিখে দ্বিতীয় বলে জানিয়েছে জীয়র এডুকেশনাল ট্রাস্ট।
আরও পড়ুন: Republic Day Parade 2022: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে সেরা ট্যাবলোর পুরস্কার উত্তরপ্রদেশের,পক্ষপাতিত্ব, অভিযোগ তৃণমূলের
এ বছর রামানুজচার্যের ১০০০তম জন্মবার্ষিকী। সেই উপলক্ষেই ১০০০ কোটি টাকা ব্যায় করে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। সোনা, রূপো,তামা, পিতল টিন—এই পঞ্চ ধাতু দিয়ে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। ২০১৭ সালে মূর্তির কাঠামো গড়ে তোলা হলেও, মূর্তি এবং সংলগ্ন এলাকার কাজ সম্পূর্ণ করতে চার বছর সময় লাগল।
প্রথমে ৫৪ ফুট উঁচু ত্রিস্তরীয় ‘ভদ্রবেদি’ গড়ে তোলা হয়েছে। বেদির উপর গড়ে তোলা হয়েছে বিশালাকার একটি পদ্মফুল। পদ্মফুলে মাঝে বসানো রয়েছে মূর্তিটি। মূর্তি সংলগ্ন ৬৩ হাজার ৪৪৪ স্কোয়্যার ফুট এলাকায় নির্মাণকার্য রয়েছে। নীচের তলায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রামানুজচার্যের জীবনকাল এবং দর্শন। এ ছাড়াও ১২০ কেজি ওজনের রামানুজচার্যের একটি স্বর্ণ মূর্তি সহকারে মন্দিরও নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে রোজকার পুজো-অর্চনা সারা যায় সেখানে। একেবারের উপরের তলায় ১৪ হাজার ৭০০ স্কোয়্যার ফুট জায়গা জুড়ে গডে় তোলা হয়েছে বৈদিক ডিজিটাল গ্রন্থাগার এবং গবেষণা কেন্দ্র।
বাইরের দিক থেকে ‘ভদ্রবেদি’ ঘেরা রয়েছে ১০৮টি দিব্য দিশা ক্ষেত্র দিয়ে, যা কি না দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বৈষ্ণব মন্দিরের প্রতিরূপ। পাথর দিয়ে সেগুলি তৈরি করা হয়েছে। জাতি, ধর্ম, শ্রেণি নির্বিশেষ সমানাধিকার প্রাপ্ত মানুষের য়ে সমাজ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন রামানুজচার্য, সে দিকে আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়তে বৈষ্ণব মন্দিরগুলিতে বিশ্বের সমস্ত দেশের পতাকা থাকবে বলে জানানো হয়েছে আশ্রমের তরফে।