HS Marksheet: উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট বিতর্ক অব্যাহত, 'অভিযোগ সত্যি হলে সংশোধন'
কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য, অভিযোগ সত্যি হলে তা সংশোধন করা হচ্ছে।
সুদীপ্ত আচার্য,কলকাতা: এক মাস আগে উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশিত হলেও মার্কশিট বিতর্ক এখনও অব্যাহত। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, সংসদের গাণিতিক মডেলের ভ্রান্তির জেরেই কম পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য, অভিযোগ সত্যি হলে তা সংশোধন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট। আর ফলপ্রকাশের পর থেকেই, মার্কশিট ঘিরে রাজ্যের নানাপ্রান্তে তৈরি হয় প্রবল বিক্ষোভ। পড়ুয়াদের বিক্ষোভের পর মার্কশিটে সংশোধনও করে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু তা সত্ত্বেও এনিয়ে পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ,যে গাণিতিক মডেলের ওপর ভিত্তি করে রেজাল্ট তৈরি হয়েছে, তাতেই বিভ্রান্তি রয়েছে। নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনে তৈরি হয়নি মার্কশিট।
মাধ্যমিক, একাদশের বার্ষিক এবং দ্বাদশের প্র্যাকটিক্যাল বা প্রজেক্টের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে বিশেষ ফর্মুলায় তৈরি হয় উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট। আর এনিয়েই তৈরি হয়েছে যাবতীয় বিভ্রান্তি। কালীঘাট হাইস্কুলের শিক্ষক গৌতম তালুকদার বলেন, "প্রথম ভাগে মাধ্যমিকের ওয়েটেজের ৪০ শতাংশ, দ্বিতীয় ভাগে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক নম্বরের ওয়েটেজ, তৃতীয় ভাগে প্র্যাক্টিক্যাল। কালীঘাট স্কুলে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৭০ জন। স্কুলের দাবি, প্রত্যেকের মার্কশিট সংশোধনের জন্য আবেদন করা হলেও, এখনও পর্যন্ত শতাধিক পড়ুয়া সংশোধিত রেজাল্ট পায়নি।"
মার্কশিটে বিভ্রান্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা সচিবকে চিঠি দিয়েছে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেসও। সম্পাদক, সৌদীপ্ত দাস বলেন, "ফর্মুলায় গণনার ক্ষেত্রে ভুল, একাধিক চিঠি দিয়েছি, সভাপতির সঙ্গেও কথা বলেছি, উনি সবার সমাধানের আশ্বাস দিলেও কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি, বহু ছাত্রছাত্রী বঞ্চিত।"
এই অবস্থায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যেসব অভিযোগের সারবত্তা মিলেছে, সেসব ক্ষেত্রে মার্কশিট সংশোধন হয়েছে। তা এখনও জারি রয়েছে।এদিকে, কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করার মেয়াদ ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত বেড়েছে। তার আগে সমস্যা কাটবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে শিক্ষকমহলের একাংশ।