(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mizoram Landslide: দুর্বল হয়ে পড়ার আগে তাণ্ডব ঘূর্ণিঝড় রেমালের, মিজোরামে ধসে চাপা পড়ে মৃত ১৫
Cyclone Remal: এখনও পর্যন্ত যে খবর পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী, এদিন সকালে আইজলের মেলথাম এবং হিলমেন জেলার মধ্যে অবস্থিত পাথরের খাদানে ধস নামে।
আইজল: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে দেশের উত্তর-পূর্বেও। সেই আবহেই মিজোরামে পাথরের খাদানে ভয়াবহ ধস নামল। ধসে চাপা পড়ে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানী আইজল-সব একাধিক জায়গা থেকে ধস নামার ঘটনা সামনে এসেছে, তার মধ্যেই এত জনের প্রাণহানির খবর সামনে এল। (Mizoram Landslide)
এখনও পর্যন্ত যে খবর পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী, এদিন সকালে আইজলের মেলথাম এবং হিলমেন জেলার মধ্যে অবস্থিত পাথরের খাদানে ধস নামে। ওই খাদানেই শুধুমাত্র ধসে চাপা পড়ে মারা যান ১১ জন। অন্যত্র আরও চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে বেলা ১১টা বেজে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। (Cyclone Remal)
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও বেশ কয়েজন আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের কী অবস্থা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে অন্য আর এক জায়গায় ধসে চাপা পড়ে দু'জন মারা গিয়েছেন। আর একটি জায়গায় একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য চলছে বলে জানান তিনি।
STORY | 10 dead, several missing as stone quarry collapses in Mizoram amid rains
— Press Trust of India (@PTI_News) May 28, 2024
READ: https://t.co/3q7ZQlauvz
VIDEO:
(Full video available on PTI Videos - https://t.co/dv5TRAShcC) pic.twitter.com/iYVVMBiUnS
উদ্ধারকার্যের জন্য মিজোরাম সরকারের তরফে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আজকের মধ্যেই নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও হবে বলে জানা গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যদিও স্তিমিত হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও বিস্তীর্ণ এলাকায় মোবাইল সংযোগ ফিরে আসেনি। ফলে ধসে মৃতদের সঠিক পরিসংখ্যান এবং ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসেব মিলছে না বলেও জানিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য জরুরি পরিষেবা ছাড়া এই মুহূর্তে মিজোরামের স্কুল, ব্যাঙ্ক, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও বাড়ি থেকে কাজের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। অসম, মেঘালয়েও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে। অসমের হাফলং এবং শিলচরের মধ্যেকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই মুহূর্তে। রাস্তার একাংশ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাস্থল থেকে ছবি এবং ভিডিও উঠে এসেছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক সেখানে।