এক্সপ্লোর
Advertisement
আদিত্য়নাথের সঙ্গে কথা রবিশঙ্করের, উদ্য়োগ মানতে নারাজ মুসলিম গোষ্ঠাগুলি, আলোচনার দরকারই নেই, বলল ভিএইচপি
লখনউ: আগামীকালের অযোধ্যা সফরের প্রাক্কালে বুধবার যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীশ্রী রবি শঙ্কর। আর্ট অব লিভিং সোসাইটির কর্ণধার প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। সরকারি সূত্রে এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাত্ বলে দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি রবিশঙ্কর জানান, তিনি নিজের ইচ্ছাতেই অযোধ্যা বিতর্কে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় নেমেছেন, এই বিতর্কের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গেই তিনি কথা বলবেন।
তিনি সম্প্রীতি, ঐক্য চান বলে জানিয়ে রবিশঙ্কর বলেন, আমি আশাবাদী, হতাশ নই। কেউই সম্প্রীতির বিরুদ্ধে নয়। এটা সবে শুরু, সবার সঙ্গেই কথা হবে। তিনি জানান, আদিত্যনাথের সঙ্গে তাঁর, কীভাবে দেশে আরও শান্তি নিয়ে আসা যায়, কৃষকের মঙ্গল, স্বচ্ছতা ও আরও নানা ইস্যুতে কথা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের জনৈক অফিসার বলেন, অযোধ্যা প্রশ্নে আদিত্যনাথের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। রাজ্য সরকার এই বিতর্কে পক্ষ হয়নি। যে কোনও সমাধান, বোঝাপড়া আমরা স্বাগত জানাব, আদালত যে রায় দেবে, মেনে নেব।
আদিত্যনাথের পাশাপাশি রবিশঙ্কর দিগম্বর আখড়ার সুরেশ দাশ, রসিকপীঠের জন্মেজয় সরন, নির্মোহী আখড়ার রাজারাম চন্দ্র আচার্যর সঙ্গেও কথা বলেছেন। সরকারি অফিসারটি সাংবাদিকদের জানান, হিন্দু ও মুসলিম, দুপক্ষের কথাই রবিশঙ্কর শুনছেন, এখনও কোনও সূত্র বা প্রস্তাব দেননি। দিল্লিতে রবিশঙ্করও আগে জানিয়েছেন, তাঁর হাতে কোনও এজেন্ডা নেই, তিনি প্রত্যেকের কথা শুনবেন।
এদিকে রবিশঙ্করের উদ্যোগ সম্পর্কে সংশয়ী মুসলিম নেতারা। তাঁরা বলছেন, আগে উনি নিজের প্ল্যান খোলসা করুন। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি)-এর সাধারণ সম্পাদক মৌলানা ওয়ালি রেহমানি বলেন, শোনা যাচ্ছে, উনি মামলার সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন, কিন্তু উনি মুসলিম সমাজের নেতৃত্ব দেওয়া এআইএমপিএলবি-র সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করেননি। প্রায় ১২ বছর আগে উনি একই প্রক্রিয়া চালান, শেষ পর্যন্ত বলেন, বিতর্কিত এলাকাটি হিন্দুদের হাতে তুলে দিতে হবে। এবার নতুন কী সূত্র আছে, বলুন।
মুসলিম নেতারা শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভির বক্তব্যেও আপত্তি তুলেছেন। রিজভি এর আগে রবিশঙ্করের সঙ্গে দেখা করেছেন। পারস্পরিক বোঝাপড়ার জন্য একটি চুক্তির খসড়াও তৈরি করছেন। রিজভি বলেছেন, অযোধ্যায় মুসলিমদের জন্য অনেক মসজিদ আছে, অযোধ্যা বা ফৈজাবাদে নতুন কোনও মসজিদের দরকার নেই। শিয়া বোর্ড মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় জমি খুঁজে বের করে সরকারকে জানাবে। শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড সম্প্রতি দাবি করে, বাবরি মসজিদ শিয়া মসজিদ, ওর মালিকানা তাদের। সুপ্রিম কোর্টে তারা ৩০ পৃষ্ঠার একটি হলফনামাও দিয়েছে। রিজভির দাবি উড়িয়ে রেহমানি বলেন, বিতর্কিত জমি কোনও পক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার এক্তিয়ার কোনও বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেই।
শিয়া পার্সনাল ল বোর্ডের মুখপাত্র মৌলানা ইউসুফ আব্বাসও বলেন, রবিশঙ্কর আগে ওনার সূত্র পেশ করুন, তারপর আলোচনা হবে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) অযোধ্যা বিতর্কে আলোচনার প্রয়োজনই নেই বলে জানিয়েছে। সংগঠনের মুখপাত্র শারদ শর্মার দাবি, রাম জন্মভূমি নিয়ে আপস-বোঝাপড়ার ব্যাপারে হইচই করার কোনও মানে হয় না, কারণ প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্যপ্রমাণ বলছে, হিন্দুদের দাবিই সঠিক। আদালত তথ্যপ্রমাণকেই মান্যতা দেয়। ভিএইচপি শ্রীশ্রী রবিশঙ্করকে সম্মান করে, কিন্তু ওনার মনে রাখা উচিত, অতীতে এ ব্যাপারে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রধানমন্ত্রী, সরকার, শঙ্করাচার্যরাও সামিল হয়েছিলেন, সবই ব্যর্থ হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট গত ২১ মার্চ আদালতের বাইরে অযোধ্যা বিরোধ মিটিয়ে ফেলার প্রস্তাব দেয়, বলে, ধর্মীয় আবেগ, অনুভূতির বিষয় যেখানে জড়িয়ে, সেখানে আলোচনাই সমস্যা মেটানোর সর্বসেরা রাস্তা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement