West Bengal Weather: বৃষ্টি বিপর্যয়ে সিকিমে আটকে ১২০০ পর্যটক! উদ্ধারে নামবে বায়ুসেনা
Sikkim Disaster:মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এদিকে, জল বেড়ে চলায় ফুঁসছে তিস্তা।
সিকিম: বৃষ্টি-বিপর্যয়ে উত্তর সিকিমের (Sikkim Heavy rain) লাচুংয়ে আটকে প্রায় ১২০০ পর্যটক। এদের মধ্যে ৬ জন বিদেশি পর্যটক রয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁদের উদ্ধার করে গ্যাংটকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলেই শুরু হবে উদ্ধারকাজ। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হবে গন্তব্যে। অন্যদিকে, কালিম্পঙের নিকোবির এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে নতুন করে ধস নেমেছে। রাস্তা বন্ধ। বিকল্প হিসেবে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে লাভা ও বাগরাকোট দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এদিকে, জল বেড়ে চলায় ফুঁসছে তিস্তা। কালিম্পঙের কালীঝোরা থেকে তিস্তাবাজার যাওয়ার পথে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। রাস্তায় ভারী যান চলাচল বন্ধ। রাস্তার একাধিক জায়গায় ফাটল ধরেছে। রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। শিলিগুড়ি থেকে ঘুরপথে করোনেশন সেতু হয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ডুয়ার্স, গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁওয়ের রাস্তা দিয়ে সিকিমে গাড়ি যাতায়াত করছে। সিকিমেও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পাহাড়বাসী।
শুক্রবার তিস্তার জলে নদীর সঙ্গে রাস্তা প্রায় মিশে গিয়েছিল। শনিবার জল নামলেও রাস্তার একাধিক জায়গায় ফাটল ধরেছিল। ব্যারিকেড করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। তিস্তা বাজারের নীচে একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভেসে গেছে গ্যারাজে রাখা গাড়ি। শনিবার কালিম্পংয়ের তিস্তাবাজারের ধস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। ধসের ফলে রাস্তা বন্ধ থাকায় শিলিগুড়ি থেকে ঘুরপথে করোনেশন সেতু হয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ডুয়ার্স, গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁওয়ের রাস্তা দিয়ে সিকিমে গাড়ি যাতায়াত করছে।
প্রচন্ড বৃষ্টির জেরে সিকিমে আটকে রয়েছে প্রায় হাজার জন পর্যটক। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভিনদেশি। সিকিমের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু সংস্কার করে তাঁদের নীচে নামানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। সিকিমে প্রবল বৃষ্টির জেরে তিস্তার ফুঁসলেও বিপদসীমার নীচ দিয়েই বইছে তোর্সা ও রায়ডাক নদীর জল।
সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দার্জিলিং ,কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দুই দিনাজপুর ও মালদায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস বলেন, 'দক্ষিণবঙ্গে আগামী চার/পাঁচ দিনের মধ্যে বর্ষা ঢোকার প্রবল সম্ভাবনা। ১৮ই জুন থেকে ২০ জুনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।'
সোমবার থেকে হাওয়া বদল হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। মেঘলা আকাশ থাকায় কমতে পারে বেশিরভাগ জেলার তাপমাত্রা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: কলকাতা শ্য়ুটআউটকাণ্ডে পাকড়াও ৪! এখনও পলাতক সোনা