স্বাধীনতা দিবসে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর প্রশাসন, আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বার শিলিগুড়ি। আর বাগডোগরা বিমানবন্দর ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ হওয়ার কারণে কড়া নজরদারি চলছে সেখানে।
বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: স্বাধীনতা দিবসের আগে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন ডিআরএম। মাঝে আর একটা দিন। এর পরই ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। ইতিমধ্যেই রাজ্যে জঙ্গি সন্দেহে পাকড়াও একাধিক ব্যক্তি। তাই স্বাধীনতা দিবসের দিন সমস্তরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই কোমর বাঁধছে প্রশাসন। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বার শিলিগুড়ি। আর বাগডোগরা বিমানবন্দর ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ হওয়ার কারণে কড়া নজরদারি চলছে সেখানে।
করোনা আবহে পর্যটকদের আনাগোনা কম থাকলেও, সদা ব্যস্ত থাকে এই দুটি জায়গা। রেল দফতর থেকে বিধিনিষেধ মেনে প্রতিদিন কয়েক জোড়া স্পেশাল ট্রেন যাতায়াত করছে। অন্যান্যদিন নজরদারি চললেও স্বাধীনতা দিবসের জন্য নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাটিহারের ডিআরএম শুভেন্দু কুমার চৌধুরী।
এ দিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরে যাত্রীদের ব্যাগ ও স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলের আশপাশের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন ডিআরএম শুভেন্দু কুমার চৌধুরী। স্বাধীনতা দিবসের আগে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলতে নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ। এ দিন স্নিপার ডগ নিয়ে গোটা স্টেশন ও স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়।
এনজেপি GRPF-এর IC অনুপম মজুমদার জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ জনকে বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নাকা চেকিং, রেইডসহ বেলাকোবা থেকে রাঙ্গাপানী মোটর ট্রলি দিয়ে স্পেশাল চেকিং এর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে কড়া নজরদারি চলছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়েও। আজ সীমান্ত লাগোয়া বালুরঘাট শহরে চকভৃগু এলাকায় রেল স্টেশনে আরপিএফ জিআরপিএফ এবং বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা বালুরঘাট স্টেশনে নাকা চেকিং চালায়। এ ছাড়াও ট্রেনেও চেকিং করে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা।
অন্যদিকে পর্যটন কেন্দ্রে চলছে করোনা নিয়েও নজরদারিও। রাজ্যে করোনা বিধি-নিষেধ জারি রয়েছে। তা ছাড়া সংক্রমণের ঢেউ একটু থিতু হতেই দল বেঁধে দিঘা-পুরী-দার্জিলিঙে পাড়ি দিচ্ছিল বাঙালি। কিন্তু তাতে আবার করোনাগ্রাফ চড়চড় করে বাড়ার আশঙ্কা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তারপরই শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। দার্জিলিং থেকে দিঘা, পুরুলিয়া থেকে বীরভূম, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে শুরু হয়ে যায় কড়াকড়ি। হয় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ আরটিপিসিআর রিপোর্ট অথবা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া না থাকলে পর্যটকদের ঢোকার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।