ODI World Cup 2023: কুড়ির ক্রিকেটে বিশ্বসেরা ব্যাটার, তবুও ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে রোজই অগ্নিপরীক্ষা সূর্যকুমারের
ICC World Cup 2023, IND vs AUS: এখনও পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে সেভাবে ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাননি। আইপিএলের মঞ্চে থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পাড়ি জমিয়ে কুড়ির ফর্ম্যাটে ব্যাটারদের সিংহাসনে।
আমদাবাদ: বয়স ৩৩ পেরিয়েছে। এই বয়সেই অনেকেই এখনকার সময় ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছেন বা নিচ্ছেন। তবে তিনি অন্য ধাতুতে গড়া। এই বয়সেও তিনি কুড়ির ফর্ম্যাটে বিশ্বের সেরা ব্যাটার। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে এখনও নিজের জায়গা পাকা করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১০ সাল থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন। আইপিএলে খেলতেন ২০১২ সাল থেকে। প্রথমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পরে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও এরপর ফের রোহিতদের ডেরায়। কিন্তু কিছুতেই জাতীয় দলের দরজা খুলছিল না। অবশেষে ২০২১ সালে প্রথমবার নীল জার্সি গায়ে তোলার সুযোগ। ৩১ বছর বয়সে। গত ২ বছরে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে নিজেকে সর্বোচ্চ উচ্চতায় নিয়ে গেলেও ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে এখনও টালমাটাল পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপে দলে রয়েছেন। একাদশেও খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, তবে সেভাবে ব্যাট হাতে এখনও নামেননি। ফাইনালে সুযোগ পেলে নিজেকে কি প্রমাণ করতে পারবেন ভারতীয় ক্রিকেটের মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি?
মাঠের চারধারে শট খেলতে পারা। বিশেষ করে ডিপ ফাইন লেগে অর্থাৎ কিপারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকানোয় ওস্তাদ ছিলেন প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকা এবি ডিভিলিয়ার্স। কিন্তু আনকোরা একটা ছেলে যে কি না বিশ্ব ক্রিকেটে মাত্র ২ বছর হল পা রেখেছেন, তিনি একের পর এক বিশ্বসেরা বোলারদের বল এভাবেই মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছেন। কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক বলটিই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন সূর্য। কিন্তু এই সূর্যের এমন তেজ কীভাবে? ডানহাতি ব্যাটার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'ছোট থেকে গলি ক্রিকেট খেলতাম। সেখানে এমন ধরণের শট খেলে খেল রপ্ত করেছি। শর্ট ক্রিকেটও খেলতাম। সেখানে এমন অনেক শট খেলতাম। যা পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও চেষ্টা করতে থাকলাম।''
২০০৯ সালে পারসি জিমখানা ক্লাবে প্রথম পেশাদার ক্রিকেটের হাতেখড়ি। সেখান থেকে রাজ্য দল মুম্বইয়ে ডাক। দ্রুত রান তুলতে ওস্তাদ প্রথম থেকেই। বর্তমানে আইসিসির টি-টোয়েন্টি ক্রমতালিকায় ব্যাটারদের মধ্যে সবার উপরে রয়েছেন সূর্য। তাঁর স্ট্রাইক রেটও টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে তিনটি শতরান রয়েছে সূর্যকুমারের ঝুলিতে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সূর্য। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুতত ভারতীয় হিসেবে সেঞ্চুরি হাঁকানোর নজির গড়েছিলেন সূর্যকুমার।