Habin And Pele: ফুটবল সম্রাটকে কড়া ট্যাকল, রক্তচক্ষুর জবাবে বলেছিলেন, 'ইউ পেলে, আই হাবিব'
Mohammed Habib: অবশেষে সবুজ-মেরুন শিবিরের কিংবদন্তি কর্তা ধীরেন দে রাজি করালেন কসমসকে। শুধু শর্ত, কোনও ফুটবলারকে কড়া ট্যাকল করা যাবে না। পাছে চোট লেগে গোটা মরশুমে মাঠে নামাই না ভেস্তে যায়।
কলকাতা: সাল ১৯৭৭। কার্যত অসাধ্য সাধন করে ফেলল মোহনবাগান ক্লাব (Mohun Bagan)। কলকাতায় নিয়ে এল নিউ ইয়র্ক কসমস ফুটবল ক্লাবকে। কে নেই সেই দলে? ফ্র্যাঙ্ক বেকেনবাউয়ার, কার্লোস আলবার্তো। তবে মধ্যমণি একজনই।
বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে যাঁকে মেনে নিয়েছেন অনেকে। এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। ফুটবল গ্রহে যিনি পেলে নামে অমর হয়ে রয়েছেন। কিন্তু কসমস ক্লাবের ফুটবলাররা কলকাতায় পা রাখা ইস্তক বৃষ্টি। এমনই পরিস্থিতি যে, মাঠ কর্দমাক্ত। খেলতে গেলে চোট লেগে যাওয়ার আশঙ্কা। বেঁকে বসল কসমস কর্তৃপক্ষ। এই মাঠে তারা কিছুতেই দল নামাবে না।
অবশেষে সবুজ-মেরুন শিবিরের কিংবদন্তি কর্তা ধীরেন দে রাজি করালেন কসমসকে। শুধু শর্ত, কোনও ফুটবলারকে কড়া ট্যাকল করা যাবে না। পাছে চোট লেগে গোটা মরশুমে মাঠে নামাই না ভেস্তে যায়।
অথচ মোহনবাগানের জার্সি পরে এক ফুটবলার কি না সটান ট্যাকল করে বসলেন পেলেকেই! ধরাশায়ী হওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়েই কটমট করে তাকিয়ে সেই বাগান ফুটবলারকে যেন ভস্ম করে দিচ্ছিলেন পেলে। তরুণ মোহনবাগান ফুটবলার যা দেখে বলে উঠলেন, 'ইউ পেলে, আই হাবিব।'
ভারতীয় ফুটবলে অমর হয়ে থেকে গিয়েছে সেই গল্প। মহম্মদ হাবিব রেয়াত করেননি পেলেকেও। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে এমনই কঠিন ছিলেন হাবিব। প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তেন না।
স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় ভারতীয় ক্রীড়ামহলে আছড়ে পড়ল শোকবার্তা। ৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার মহম্মদ হাবিব (Mohammed Habib)। যাঁকে ময়দান চিনত বড়ে মিঞা নামে। হায়দরাবাদে, নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন হাবিব।
হাবিবের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেছেন তিনি। লিখেছেন, 'হায়দরাবাদে আজ কিংবদন্তি ভারতীয় ফুটবলার মহম্মদ হাবিবের প্রয়াণের খবর শুনে আমি মর্মাহত। ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত কলকাতা ময়দানে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। ফুটবলপ্রেমীদের নয়ণের মণি ছিলেন। দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ছিলেন। ২০১৮ সালে আমরা ওঁকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণ দিতে পেরেছিলাম। ওঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অগণিত ভক্তদের সমবেদনা জানাই।'
মঙ্গলবার হায়দরাবাদের বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন