(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Celebrity Exclusive Interview: মা-বাবার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, ঋষভ বাছলেন অভিনয়
বাবা মায়ের ইচ্ছা ছিল, ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু তাঁকে অনেক বেশি টানত লাইটস-ক্যামেরা-অ্যাকশান। একদিন সাহস করে বাড়িতে জানিয়ে দিলেন, পড়াশোনা নয়, অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিতে চান তিনি। তারপর বাড়িতে প্রায় 'থ্রি ইডিয়েসট' সিনেমার একটা অংশের পুনরাবৃত্তি হয়েছিল। আর নিজেকে ফরহান বলে মনে হয়েছিল ঋষভ বসুর।
কলকাতা: বাবা মায়ের ইচ্ছা ছিল, ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু তাঁকে অনেক বেশি টানত লাইটস-ক্যামেরা-অ্যাকশান। একদিন সাহস করে বাড়িতে জানিয়ে দিলেন, পড়াশোনা নয়, অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিতে চান তিনি। তারপর বাড়িতে প্রায় 'থ্রি ইডিয়েসট' সিনেমার একটা অংশের পুনরাবৃত্তি হয়েছিল। আর নিজেকে ফরহান বলে মনে হয়েছিল ঋষভ বসুর।
অভিনয়ের হাতখড়ি হয়েছিল মঞ্চে। তারপর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, বড়পর্দা। ইন্ডাস্ট্রিতে সদ্য পা রাখা ঋষভের ঝুলি ভরছে অভিজ্ঞতায়। সদ্য মুক্তি পাওয়া ট্যাংরা ব্লুজ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? ঋষভ বলছেন, 'আমাদের প্রজন্মটা বড় হয়েছে পরমব্রতদাদের প্রজন্মদের অভিনয় দেখে। ওর সঙ্গে কাজ করাটা সত্যিই বড় পাওয়া। অভিনয় করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। পরমদা যেভাবে নিউকামারদের জায়গা করে দেয়, সবাই এমন করে না। হয়ত আমার আর পরমদার একসঙ্গে একটা সিন আছে। ক্যামেরা পরমদাকে ফোকাস করলে ও থামিয়ে দিয়ে বলত, 'এই সিনটা ঋষভের সিন, ওকে ফোকাস করো, আমায় না। ট্যাংরা ব্লুজের সময়ে দেখেছি পরমদা অভিনয় থেকে স্ক্রিপ্ট, প্রযোজনা সমস্তটা কিভাবে একা সামলাত। মেক আপ থেকে শুরু করে অভিনয়ে যে কোনও রকম সাহায্য, সবসময় এগিয়ে আসতেন সব সিনিয়াররা।'
আপাতত 'খড়কুটো' ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন ঋষভ। সম্প্রতি শেষ করেছেন ওয়েবসিরিজ 'টুরু লাভ'-এর শ্যুটিং। হাতে রয়েছে 'শ্রীকান্ত' -সহ একাধিক কাজও। ঋষভ বলছেন, 'কখনও ছোটপর্দায় অভিনয় করব ভাবিনি। খড়কুটো আমার প্রথম কাজ। তবে টুরু লাভে এই প্রথমবার উষসী আর রাজনন্দিনীর (উষসী রায় ও রাজনন্দিনী পাল) সঙ্গে কাজ করলাম। খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ওরা। গোটা ইউনিটটাও খুব ভালো ছিল। এখন তো করোনা পরিস্থিতির জন্য সিনেমা বা ওয়েবসিরিজের সব কাজ বন্ধ। ধারাবাহিকের কাজ চলছে করোনাবিধি মেনেই।'
অভিনয়ের শুরু মঞ্চ থেকেই। সেইমসয় মঞ্চসজ্জা থেকে অভিনয়, মেক-আপ সবই সামলাতে হয়েছে ঋষভকে। করোনা পরিস্থিতিতে বেড়েছে ওটিটির জনপ্রিয়তা। ঋষভও কাজ করছেন ওটিটিতেই। রুপোলি পর্দা, মঞ্চ নাকি ওটিটি? অভিনেতা বলছেন, 'ওটিটির একটা সুবিধা হল বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে বসে দেখে ফেলা যায়। তার ওপর ছবির সময়ের কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। ছোট ছোট কাজ করেই অনেক পরিচালক পৌঁছে যেতে পারছেন দর্শকদের কাছে। তবে বড়পর্দার ম্যাজিক কেউ কাড়তে পারবে না। আমার বিভিন্ন ছবির ক্ষেত্রেও আমি দেখেছি, বড়পর্দার অনুভূতিটা এক্কেবারে আলাদা।'
একটা সময় দীর্ঘদিন স্কুলে নাটকের ক্লাস করাতেন ঋষভ। বললেন, 'সেইসময় ছোটদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আর 'ভটভটি' ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তথাগতদা আর দেবলীনাদির সঙ্গে আলাপ। (তথাগত মুখোপাধ্যায় ও দেবলীনা দত্ত) ওরা আমার মেন্টর বলতে পারেন। পর্দা থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সব কিছুতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ওরাই।' মায়ের সমর্থনেই থিয়েটার নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। অভিনয়কে যদি পেশা হিসাবে না বেছে নিতে তাহলে? ফুটবল খেলতাম। একটা সময় ভেবেছিলাম ফুটবলকেই পেশা হিসাবে নেব। কিন্তু একটা চোটের জন্য খেলা ছেড়ে দিতে হয়। এখন খুব মনে হয়, যদি চোটটা কোনওভাবে ঠিক হয়ে যায়...আবার যদি খেলতে পারি...'