Ayodhya Ram Temple: প্রচুর উপহার আসছে নেপাল-ছত্তীসগঢ় থেকে, এই দুই জায়গার সঙ্গে কোন সূত্রে বাধা রাম লালা ?
Ram Temple: অযোধ্য়াজুড়ে এখন প্রায় রাজসূয় যজ্ঞ। ঐতিহাসিক মন্দির ঘিরে তুমুল ব্য়স্ততা। শনিবার সেখানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, অযোধ্যা: রাম লালার জন্য় প্রচুর উপহার আসছে নেপাল থেকে। ৩ কুইন্টাল চাল আসছে ছত্তীসগঢ় থেকে। পটনার মহাবীর ট্রাস্ট থেকে পাঠানো হয়েছে সোনার ধনুক। রামমন্দিরে এখন শুধুই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
প্রত্য়েকটা বাড়ি সেজে উঠেছে একইরকম রঙে। প্রত্য়েকটা লাইটস্ট্য়ান্ড ফুলের মালা দিয়ে সাজানো হয়েছে। অযোধ্য়া জুড়ে এখন শুধুই রামায়ণের থিম। পুরাণে বলা হয়, রাম লালার মাতুলালয় ছত্তীসগঢ়ের চাঁদখুড়িতে। আর নেপালের জনকপুরে জন্ম হয় সীতার। সূত্রের খবর, অযোধ্য়ায় রাম-লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে এই দুই জায়গা থেকে আসছে প্রচুর উপহার। যেমন-
প্রায় তিন কুইন্টাল চাল আসছে ছত্তীসগঢ় থেকে। প্রচুর ফল, পোশাক আসছে জনকপুর থেকে। এছাড়াও নেপাল থেকে আসছে বিভিন্ন ধরনের গয়না, বাসন এবং মিষ্টি। মন্দিরের জন্য় উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছে ২ হাজার ১০০ কেজি অষ্টধাতু। ভডোদরা থেকে ১০৮ ফুট লম্বা ধুপ, পটনার মহাবীর ট্রাস্ট থেকে পাঠানো হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা মূল্য়ের সোনার ধনুক। অযোধ্য়ার রেলস্টেশন, এয়ারপোর্টের পাশাপাশি, হনুমানগড়িতেও এখন তুমুল ব্য়স্ততা।
বাঙালি চিরকালীনই ভ্রমণ প্রিয়, আর বেণারসের সঙ্গে তার আলাদা টান। অনেকেই এখন বেনারসের সঙ্গে বেড়ানোর তালিকায় যোগ করে নিচ্ছে অযোধ্য়াকেও। ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের পর পর্যটকদের ঢল আরও বাড়বে বলেই আশা সকলের।
অযোধ্য়াজুড়ে এখন প্রায় রাজসূয় যজ্ঞ। ঐতিহাসিক মন্দির ঘিরে তুমুল ব্য়স্ততা। শনিবার সেখানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সেজে উঠছে স্টেশন থেকে এয়ারপোর্ট। বদলে যাচ্ছে অযোধ্য়া রেলস্টেশনের নাম। তার নতুন নাম রাখা হয়েছে অযোধ্য়া ধাম জংশন। রামের মুকুটের আদলে সেজে উঠছে অযোধ্য়া ধাম জংশন। আর রামমন্দিরের রূপে সেজে উঠছে নতুন বিমানবন্দর। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অযোধ্য়া। শহর জড়ে বসানো হচ্ছে প্রচুর সিসিটিভি। রাস্তায় বসানো হচ্ছে আন্ডার ভেহিক্য়াল স্ক্য়ানার।
অনেকেই বলছেন, রামমন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের সঙ্গে সঙ্গে একটি অধ্যায়ের বৃত্তপূরণ হতে চলেছে। যার আগাগোড়া বিতর্ক আর রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে ভরা। প্রায় ৫০০ বছর আগে, ১৫২৮ খ্রিষ্টাব্দে রাজপুতদের যুদ্ধে হারানোর পরে, মুঘল সেনাবাহিনীর কম্যান্ডার মীর বারকির উদ্যোগে নির্মিত হয় বাবরি মসজিদ। আর ৫ শতাব্দী পরে, সেই জায়গাতেই মাথা তুলেছে সুদৃশ্য রামমন্দির। সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার পর ৪ বছর পার হয়েছে। আর কয়েক দিন বাদেই সুবিশাল মন্দিরের উদ্বোধন। ওই দিন অযোধ্যায় লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হতে পারে বলে আশা।
আরও পড়ুন ; কোন মূর্তি বসবে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে ? ভোটাভুটিতে সিদ্ধান্ত আজ