Amrit Bharat Express: ঘোরাতে হবে না ট্রেন, দুই দিক থেকেই চালানো যাবে, অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে আরামের প্রতিশ্রুতি রেলের

Indian Railways: একটি অমৃত ভারত পেল বাংলাও। ছবি: ভারতীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর X হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।

ছবি: ভারতীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর X হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।

অযোধ্যা থেকে মালদা-বেঙ্গলুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৭ জানুয়ারি থেকে নিয়মিত যাতায়াত করবে ট্রেনটি। ছবি: ভারতীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর X হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।

২২০০ কিলোমিটারের বেশি যাত্রাপথে ছুঁয়ে যাবে ৩২টি স্টেশন। সাধারণ মানুষকে আরামদায়ক সুবিধা দিতেই অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের ভাবনা, দাবি রেল কর্তৃপক্ষের। ছবি: ভারতীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর X হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।

শনিবার সূচনা হল ভারতের প্রথম দুটি অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের। তার মধ্যে একটি পেল বাংলা। ছবি: ভারতীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর X হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।

গেরুয়া ও ছাই রঙা অমৃত ভারত এক্সপ্রেসকে এদিন সাজানো হয়েছিল রং-বেরঙের বেলুন আর গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে। প্ল্যাটফর্মে পাতা হয়েছিল রেড কার্পেট।

মালদা টাউন স্টেশন থেকে বেঙ্গালুরু টার্মিনাস স্টেশনে পৌঁছতে সময় লাগবে ৪৩ ঘণ্টা। দূরত্ব ২ হাজার ২৪৭ কিলোমিটার। ট্রেনের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার।

মালদা ও ব্যাঙ্গালোরের মাঝে ৩৩টি স্টেশনে থামবে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। এর মধ্যে রয়েছে নিউ ফরাক্কা জংশন, রামপুরহাট, বোলপুর, বর্ধমান জংশন, ডানকুনি, আন্দুল, খড়গপুর, বেলদা। ছবি: ভারতীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর X হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।

অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে ২২টি কামরার মধ্যে ১৪টি স্লিপার কোচ ও ৮টি সাধারণ কামরা থাকছে। সফর করতে পারবেন সর্বাধিক ১৮০০ যাত্রী। দেশে এটিই প্রথম পুশ-পুল ট্রেন অর্থাৎ সামনে ও পিছনে দুটি ইঞ্জিন থাকছে। ছবি: নরেন্দ্র মোদি।

ঝাঁকুনি এড়ানোর জন্য দুটি কোচের মধ্যে থাকছে সেমি পার্মানেন্ট কাপলার। প্রতিটি কামরায় থাকছে বায়ো টয়লেট। বন্দে ভারতের মতোই আড়াআড়ি বড় জানলা, এক একটি কামরার মধ্যে স্লাইডিং দরজা থাকবে।মেঝেয় থাকবে ফ্লুরোসেন্ট আলোর ব্যবস্থা। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে সংগৃহীত।

এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, সেই অনুযায়ী, অন্য মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের তুলনায় অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ বেশি। অসংরক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণির আসনের ভাড়া অন্য ট্রেনের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি পড়বে। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে সংগৃহীত।

৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রাপথে দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিট কিনতে খরচ পড়বে ন্যূনতম ৩৫ টাকা। ওই একই দূরত্বে অন্য ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিটের ন্যূনতম ভাড়া ৩০ টাকা পড়ে। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে সংগৃহীত।

১৫ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার ক্লাসের ন্যূনতম ভাড়া ৪৬ টাকা। ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের ক্ষেত্রে ৬৫ টাকা পড়বে ন্যূনতম ভাড়া। ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রাপথে দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ৯৩৩ টাকা। ১৪৬৯ টাকা ভাড়া পড়বে স্লিপার ক্লাসে। এর উপর বাড়তি পণ্য ও পরিষেবা করও (GST) চাপবে। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে সংগৃহীত।

শুধু তাই নয়, GST  ছাড়াও সুপারফাস্ট সারচার্জ, সংরক্ষণ ফি এবং অন্য খরচও যোগ হবে টিকিটের ভাড়ার উপর। কোনও ছাড় মিলবে না। ভারতীয় রেলে বাচ্চাদের যে ভাড়া নেওয়া হয়, সেই হারেই ভাড়া কার্যকর হবে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে সংগৃহীত।