FIITJEE Coaching Centre: হঠাৎ বন্ধ হল FIITJEE-র বহু কোচিং সেন্টার, বিপাকে বহু পড়ুয়া; কী ঘটেছে ?
FIITJEE Coaching Centres Shut Down: উত্তর ভারতের বেশ কিছু ফিটজি কোচিং সেন্টারে তালা ঝুলল। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে মোট ৮টি সেন্টার (New Delhi) এভাবে আকস্মিক বন্ধ হয়ে গিয়েছে গত এক সপ্তাহের মধ্যে।

নয়াদিল্লি: পরপর একাধিক কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে গেল হঠাৎ করে। উত্তর ভারতের বেশ কিছু ফিটজি কোচিং সেন্টারে তালা ঝুলল। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে মোট ৮টি সেন্টার (New Delhi) এভাবে আকস্মিক বন্ধ হয়ে গিয়েছে গত এক সপ্তাহের মধ্যে। ফোরাম ফর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন সংক্ষেপে ফিটজি সংস্থার শিক্ষকদের তরফে অভিযোগ এসেছিল যে তাদের বেতন (FIITJEE) বাকি পরে গিয়েছে। আর তাই একের পর এক শিক্ষক সংস্থা ছাড়ছিলেন, এখন বিপাকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
মূলত নয়ডা, গাজিয়াবাদ, ভোপাল, বারাণসী, দিল্লি, পাটনার ফিটজি কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মীরাটে সম্প্রতি এই কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আধিকারিকদের তরফে জানা গিয়েছে, এই কোচিং সেন্টারের প্রশাসন সাময়িকভাবে নয়ডা থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এসে সেন্টারে পড়াশোনা চালু রাখার চেষ্টাও করেছিলেন, কিন্তু তাতে খুব বেশিদিন এই ব্যবস্থা চালানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার পরে বাধ্য হয়ে সংস্থা বন্ধ করে দিতে হয় ফিটজি প্রশাসনকে।
বহু অভিভাবক সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন, জানিয়েছেন যে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কোনোরকম নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকী তারা যে অ্যাডমিশন ফি জমা দিয়েছেন সেটিও রিফান্ড মেলেনি। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে বহু ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা সংস্থার বন্ধ হয়ে যাওয়া সেন্টারের বাইরে জমায়েত হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। মীরাটের একটি ফিটজি সেন্টারে পাঠরত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সংবাদমাধ্যমে জানান, 'বেশ কিছু রাজ্যে ছয় মাস ধরেই একের পর এক ফিটজি সেন্টার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারপরে আমাদের বলা হচ্ছে এই সেন্টারগুলি বন্ধ হবে না, আমরা যেন পেমেন্ট করে দিই। ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষ টাকা আমি জমা করেছি। তারা সকলের থেকে টাকা নিয়েছে আর আমাদের জানিয়েছে যে ক্লাস চলবে। শিক্ষকরাও যেখানে সংস্থা ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, তারা জানিয়েছে যে ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনা হবে'।
আরেক অভিভাবক জানান যে তাঁকে এক শিক্ষক বলেছেন এই সংস্থা থেকে বহু শিক্ষক চলে যাবেন কারণ তাদের অনেক টাকা বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্সিং এবং ফায়ার সেফটি নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য ফিটজির শাখাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আগেই। আর এই কারণে সংস্থায় তৈরি হয়েছে আর্থিক সঙ্কট। সারা দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত ৪১টি শহরে মোট ৭২টি শাখা রয়েছে ফিটজির যেখানে মোট ৩০০ জন কর্মী কাজ করেন। আইআইটি, নিট ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় এই প্রতিষ্ঠানে।
আরও পড়ুন : Deepak Perwani: ভারতের প্রশংসা করে রোষের মুখে পাক ফ্যাশন ডিজাইনার, কে এই দীপক পেরওয়ানি ?
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
