Chandrayaan-3 Findings: চাঁদের বুকে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, সাড়া ফেলল ভারতের চন্দ্রযান-৩
Science News: চাঁদের বুকে ‘শিবশক্তি পয়েন্টে’ অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’।
![Chandrayaan-3 Findings: চাঁদের বুকে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, সাড়া ফেলল ভারতের চন্দ্রযান-৩ Chandrayaan 3 ISRO made big discovery on moon surface Chandrayaan-3 Findings: চাঁদের বুকে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, সাড়া ফেলল ভারতের চন্দ্রযান-৩](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/07/02/badbfe6d6e2e371ca91f3dd22d3366161719936805986338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: চন্দ্রপৃষ্ঠে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। কিন্তু মৃত্যুর আগেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছিল। এতদিনে তা খোলসা করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে চন্দ্রযান-৩, যা চাঁদের বাস্তুতন্ত্র বোঝার কাজে সহায়ক হবে আগামী দিনে। (Chandrayaan-3 Findings)
চাঁদের বুকে ‘শিবশক্তি পয়েন্টে’ অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। সেখান থেকে ল্যান্ডার 'বিক্রম'-এর নির্দেশ অনুযায়ী চাঁদের মাটিতে ১০৩ মিটার পথ পেরোয় রোভার ‘প্রজ্ঞান’। Nectarian সমতল থেকে Boguslawsky গহ্বর পর্যন্ত যাত্রা করে সে। আর সেখানকার মাটিতে, গহ্বরের কিনারায় এবং দেওয়ালে বেশ কিছু পাথরের নমুনা সংগ্রহ করে’। (Science News)
চাঁদের মাটিতে ১-থেকে ১১.৫ সেন্টিমিটারের পাথরের টুকরো খুঁজে পায় ‘প্রজ্ঞান’। সেগুলির নমুনা সংগ্রহ করে সে, যা থেকে প্রাপ্ত তথ্য চলতি বছরের শুরুতে আমদাবাদের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন প্ল্যানেটস, এক্সোপ্ল্যানেটস অ্যান্ড হ্যাবিচুয়ালিটি-তে তুলে ধরা হয়। সেই নিয়ে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের অবতরণস্থল থেকে যত পশ্চিম দিকে এগিয়েছে ‘প্রজ্ঞান’, ততই পাথরের সংখ্যা এবং আকার বেড়েছে।
আরও পড়ুন: Sunita Williams: মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস, নিরাপদে ফেরার সম্ভাবনা কতটা? জানালেন ISRO প্রধান
‘শিবশক্তি পয়েন্টে’র কাছাকাছি যে গহ্বরগুলের ব্যাস ১০ মিটারের মধ্যে, সেখান থেকেই পাথরগুলির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা শিলার উপরিভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। কখনও মূল শিলার উপর, কখনও বা অন্যত্র সরে গিয়ে ওই ক্ষয়প্রাপ্ত শিলা মাটির উপর শিথিল আস্তরণ তৈরি করে। বহু বছর ধরে বার বার এই প্রক্রিয়া চলায় কখনও ওই শিলা ঢাকা পড়েছে, কখনও আবার উন্মুক্ত হয়েছে। সেখান থেকেই ওই পাথরগুলির নমুনা সংগ্রহ করেছে ‘প্রজ্ঞান’।
এর মধ্যে ‘প্রজ্ঞান’ সংগৃহীত দু’টি পাথরের নমুনা দেখে বোঝা গিয়েছে, সেগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে বলে। অর্থাৎ মহাজাগতিক পরিবেশে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে ওই দু’টি পাথর, যা চাঁদের ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের গঠন বোঝার সহায়ক হবে। আগামী দিনে চন্দ্রাভিযাবনের ক্ষেত্রেও এই আবিষ্কার কাজে লাগবে বলে মত বিজ্ঞানীদের। চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক সম্পদকে কী কাজে লাগানো যেতে পারে, সেই সম্পর্কেও মিলবে ধারণা। আগামী দিনে চন্দ্রযান-৪ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাটি এবং পাথর তুুলে পৃথিবীতে আনবে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)