Kolkata Delivery Man Accident : পায়ের ওপর ট্রাকের চাকা, সারারাত ঘুরেও বেড পেলেন না ফুড ডেলিভারি ম্যান ! এখনও শুয়ে ট্রলিতেই
Kolkata News : দুর্ঘটনার পর ১১ ঘণ্টা কেটে গেলেও জোটেনি বেড। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হল আহত ও তার পরিবারকে।
রুমা পাল , কলকাতা : কোথায় বেড ? কোথায় পাবেন চিকিৎসা ? পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এক ফুড ডেলিভারিম্যানকে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরতে হল রাত ভর।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টা নাগাদ খাবার ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময়, ব্যারাকপুরের লালকুঠি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বছর আটত্রিশের অবিনাশ। এর ভয়াবহ যন্ত্রণা নিয়েই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হয় ছোটাছুটি । দুর্ঘটনার পর ১১ ঘণ্টা কেটে গেলেও জোটেনি বেড। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হল আহত ও তার পরিবারকে।
ফুড ডেলিভারি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায় যন্ত্রণায়। তারপর ১১ ঘণ্টা ধরে এ-হাসপাতাল থেকে ও-হাসপাতাল ছুটেও কোথাও হয়নি সুরাহা। শেষমেষ আহত ব্যক্তিকে SSKM-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা গেলেও মেলেনি বেড। এখনও ট্রলিতেই শুয়েই রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের বাসিন্দা অবিনাশ মাঝি।
মঙ্গলবার ট্রাকের চাকা তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। পরিবারের দাবি, বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা যায়নি। এরপর দুটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে তাঁরা যান আর জি কর মেডিক্যালে। সেখানে পা বাদ যেতে পারে শুনে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসার খরচ শুনে এরপর রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ আহত ব্যক্তিকে আনা হয় SSKM-এ। সেখানেও প্রাথমিক চিকিৎসা করে বেড নেই বলে দেওয়া হয়। অবশেষে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ভর্তি নেয় হাসপাতাল।
যে দশ দফা দাবি সামনে রেখে, জুনিয়র ডাক্তাররা দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়েছেন, তার মধ্য়ে অন্য়তম ছিল অবিলম্বে রাজ্য়ের সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিক্য়াল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্য়বস্থা এবং ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটরিং সিস্টেম চালু করা, যাতে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালের দোরে দোরে ঘুরতে না হয়। কিন্তু তারপরও একের পর এক রেফার-রোগের ঘটনা সামনে এসেছে। গত ১৫ অক্টোবর থেকে প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরু হয় কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্য়বস্থা। ১ নভেম্বর থেকে চালু হয় SSKM-সহ ৫টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে তারপরও দুর্ভোগ চলছেই। ৩ নভেম্বর, ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে আহত এক রোগীকে SSKM-এ আনা হলে, হাসপাতালের তরফে বেড খালি নেই বলে জানানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে । এরপর গত ১১ নভেম্বর রেফার রোগে ফের হয়রানির শিকার হয় এক শিশুর পরিবার। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বাঁকুড়ার শিশুকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসে নাজেহাল হতে হয় পরিবারকে।
আরও পড়ুন, 'TMC নেতা আক্রান্ত হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়, কিন্তু অভিযুক্ত যদি শাসক হয় ..' !