Firhad Hakim: 'এখন ন্যাকা সেজে কী হবে'? বাঘাযতীনে বহুতল ভাঙা নিয়ে কাকে এই নিশানা ফিরহাদের?
Baghajatin House Collapse: বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় এবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন?
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বিপদ বাড়ছে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, আরও হেলে পড়ছে বহুতল। ফলে আশেপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত। যে কোনও মুহূর্তে চারতলা বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'দায়িত্ববান পুরসরভার কর্মীদের তত্ত্বাবধানে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা বাড়িটাই ভেঙে ফেলা হবে। সিনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা ওখানে রয়েছেন। কলোনি এলাকায় অনেকেই নিজেরাই বাড়ি করে নিয়েছেন। কোনও প্ল্যান না করেই। এই পাপের বোঝা আমাদের নয়, বাম আমল থেকে চলছিল। এখন সেটা আমাদের বইতে হচ্ছে। বাম আমলে কিছু তো অনলাইন ছিল না। আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি তখন ওই সব ফাইলই কিছু পাচ্ছি না। আমরা দায় চাপাচ্ছি না। বামেরা ট্র্যাডিশনটা শুরু করেছিল। সেই অভ্যাস তো রয়ে গেছে। সেই সময় কঠোর হলে আজ এসব হত না। অনেক ভুল প্ল্যান মঞ্জুর হয়েছে। এখন এসব ন্যাকা সেজে কী হবে।'
এদিকে, বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় এবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বাম আমলের ঘাড়ে দায় ঠেলার চেষ্টা করলেন যাদবপুরের তৃণমূল বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। তাঁর দাবি, ৪০-৫০ বছর আগে এখানে জলাজমি বোজানো হয়। কলোনি এলাকায় এমন বেআইনি নির্মাণ অনেক রয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বেআইনি নির্মাণ তৈরির প্রবণতা কমেছে বলেও দাবি করেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। এদিন বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। বামেদের প্রশ্ন, কাউন্সিলর কেন পুরসভাকে জানাননি? অনুমতি ছাড়া কীভাবে চারতলা তৈরি হল? পুরসভা কী করছিল? এই ঘটনায় তৃণমূল কাউন্সিলরের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম।
গতকাল থেকেই বহুতল ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। পাশের বাড়ির মালিকের আশঙ্কা, তাঁর বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বহুতলের বাসিন্দাদের দাবি, ২০১৩ সালে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের ৫-৬ বছর পর সমস্যা শুরু হয়। প্রোমোটার সম্প্রতি হরিয়ানার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বহুতল সোজা করার কাজ করাচ্ছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, জলাজমি বুজিয়ে বহুতল তৈরির পাশাপাশি, পুরসভার অনুমতি ছাড়াই তিনতলা ফ্ল্যাটবাড়ি চারতলা করা হয়েছিল। সেই কারণেই বিপত্তি। পলাতক প্রোমোটার সুভাষ রায়, ফ্ল্যাটের মালিক এবং হরিয়ানার সংস্থার বিরুদ্ধে নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে